হাইপোগ্লাইসেমিয়া সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হয়। তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া ডায়াবেটিস ছাড়াই ঘটতে পারে। সাধারণত কারো শরীরে শর্করার মাত্রা যদি প্রতি ডেসিলিটারে ৫৫ মিলিগ্রামের নিচে নেমে যায় তখন ধরা হয় তার হাইপোগ্লাইসেমিয়া আছে।
কম ব্লাড সুগার মানে হলো শরীরে সঠিকভাবে কাজ করার বা তার ক্রিয়াকলাপ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত শক্তি না থাকা।
ব্লাড সুগার বা গ্লুকোজ শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। রক্তে খুব বেশি ইনসুলিন থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। এটি ঘটতে পারে যদি আপনি কয়েক ঘণ্টা ধরে না খান। রক্তে শর্করার ড্রপ মানে মস্তিষ্ক ও শরীরকে শক্তি দেয়ার জন্য রক্তে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ না থাকে।
কেউ যদি রক্তে শর্করাকে কম করে এমন ওষুধ গ্রহণ করেন তবে ডায়াবেটিস ছাড়া রক্তে শর্করার পরিমাণ কম হতে পারে। এর মধ্যে ব্যথা উপশমকারী যেমন:
বেদনানাশক ওষুধ
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি
স্টেরয়েড
রক্তচাপের ওষুধ
নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিবায়োটিক
ডায়াবেটিস ছাড়া রক্তে শর্করা কম হওয়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ না করলে বা কোনো ধরনের অসুস্থতা থাকলে।
এছাড়া কিছু রোগ শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার, অ্যাড্রিনাল রোগ ও হেপাটাইটিস অন্তর্ভুক্ত।
কারো যদি প্রি-ডায়াবেটিস থাকে বা আপনি যদি প্রচুর পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা রুটি, পাস্তা ও বেকড পণ্য খান তবে শরীরে শর্করার পরিমাণ কম থাকতে পারে।
ডায়াবেটিস ছাড়া হাইপারগ্লাইসেমিয়া একইভাবে হাইপারগ্লাইসেমিয়া ডায়াবেটিসসহ বা ছাড়াই হতে পারে।
কারো ডায়াবেটিস না থাকলেও বিভিন্ন কারণ হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু রোগ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এবং কুশিং সিনড্রোম।
আপনার যদি সংক্রমণ থাকে, তবে আপনার শরীর অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনও প্রচুর পরিমাণে নিঃসরণ করতে পারে। এ হরমোনের অত্যধিক পরিমাণ কারো শরীরকে সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে পারে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস ছাড়া হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে এমন অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থূলতা ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা। কারো ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেশি হতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন