ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

করতে চাইলে উদ্যোক্তা উন্নয়নে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা...

ফিচার প্রতিবেদক

ইডিসি আয়োজিত ‘বিজনেস প্ল্যান কম্পিটিশন-২০২৩’-এ গ্র্যান্টপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফরহাদ উদ্দীন ছবি: ইডিসি

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনো হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট প্রতি বছরই কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। তবে বেকারের সংখ্যাও কম নয়। যারা নিজের জন্য স্বকর্মসংস্থানের সন্ধান করছে কিংবা নিজস্ব উদ্যোগে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চায় এমন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রাথমিক পুঁজির জোগান দিচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয় অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। 

ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান এবং নতুন ব্যবসা শুরুর কৌশলগত নানা দিক নিয়ে কাজ করছে এ অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। উদ্যোক্তা হতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে এক বছর মেয়াদি ‘‌পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ প্রোগ্রাম।

যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস শিক্ষার্থী অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিতে পারবেন। ক্লাস চলে শুধু শুক্রবার। ভর্তি হতে পারবেন চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী যে কেউই। ৪০ ক্রেডিটের এ প্রোগ্রামে হিসাববিজ্ঞান, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, গ্রাহকসেবা, বিপণন কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্প ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য বিপণন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং অভিক্ষেপ প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে হাতে-কলমে শেখানো হয়। কোর্স কোঅর্ডিনেটরদের পাশাপাশি অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকেন স্বনামধন্য উদ্যোক্তা ও শিল্প বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের কাছ থেকে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া যেকোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞতা লাভেরও সুযোগ রয়েছে। 

কোর্স শেষে সেন্টারের পক্ষ থেকে চালু হয় বিজনেস প্ল্যান ডেভেলপমেন্ট। এর আওতায় বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে হাতেকলমে উদ্যোক্তার ব্যবসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যবসার ডিজাইন, সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণ ইত্যাদি সম্পন্ন করা হয়। ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম শেষে বিজনেস প্ল্যান ডেভেলপমেন্ট কম্পিটিশন আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রথম তিনটি বিজনেস আইডিয়াকে প্রাথমিক পুঁজি (সিড ফান্ডিং) প্রদানের জন্য মনোনীত করেন। 

উদ্যোক্তা তৈরি থেকে কমার্শিয়ালাইজেশনের জন্য নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ গ্র্যান্ট প্রদান করে, যা অফেরতযোগ্য। টপ বিজনেস আইডিয়া প্রদানকারী উদ্যোক্তাদের অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ গ্র্যান্ট প্রদান করা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে ঋণ ফেরত প্রদানের জন্য একটি অনুকূল সময় বেঁধে দেয়া হয়, যাতে উদ্যোক্তারা ব্যবসা করে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারেন। প্রতি ব্যাচের তিনজন উদ্যোক্তাকে তাদের নতুন ব্যবসার আইডিয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া বিজনেস প্ল্যান ডেভেলপমেন্ট কম্পিটিশনে প্রথম তিনটি আইডিয়া সিড ফান্ডিং প্রাপ্ত হয়।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. এ এম তানভীর হোসেন বলেন, ‘‌এ সেন্টার থেকে একটি ব্যাচ ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছে। আশা করছি আমাদের প্রয়াস ও তাদের কাজের মাধ্যমে তারা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনা করবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই যেখানে উদ্ভাবন এবং সাফল্য হাতে হাত রেখে চলবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন