জাতীয় পর্যায়ে মতবিনিময়ে আলোচকরা

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে নয় বরং অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে করার বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভা: নির্বাচন ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ পথরেখা অনুসন্ধান শীর্ষক অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার (১৯ জুন) এসব কথা বলেন তারা।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চারটি বিভাগে আলোচনার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট। সেসব আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর। আলোচনায় তৃণমূলের মানুষ আশাবাদ, হতাশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানান তিনি।

আরো বলেন, তৃণমূলের লোকজন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি উভয় নিয়েই আশাবাদ। একইসঙ্গে সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হওয়া বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

হুমায়ুন কবীর বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গণতন্ত্রের চর্চা হ্রাস পাওয়া, দুর্নীতি বৃদ্ধিসহ আরো কিছু বিষয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধার বিষয়গুলো হতাশা হিসেবে দেখেছে। তবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বেলায় বিষয়টি ভিন্ন। একদল ক্ষমতা থেকে চলে গেলে হতাশার কথা বলছে। অন্য দল পুলিশের ভয়ের কথা বলছে।

শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথরেখা হিসেবে আস্থা ও অংশগ্রহণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া, গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের কথা হুমায়ুন কবীর উল্লেখ করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রার্থীদের সামনের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনগত সমস্যাগুলো সমাধান করাসহ আইনগত কাঠামোটি ঠিক করতে হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়া বৈদেশিক নীতিটা পোলারাইজড হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন আছে। এছাড়াও নির্বাচনের চলাকালীন সময়ে থাকতে হবে বিদেশী পর্যবেক্ষদের সরব উপস্থিতি। সেক্ষেত্রে প্রতি উপজেলায় চার থেকে পাঁচজন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক থাকবে হবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা বেগম বলেন, বিএনপির সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে অস্বীকার করেছিল। তারাই এখন তাদের যুক্তি সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলছে। তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করে। যখন খালেদা জিয়ার কোনোকিছুর প্রয়োজন হয় তখন তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করে। কিন্তু রাজনৈতিক ময়দানে এই প্রধানমন্ত্রীকেই বলে অবৈধ সরকার।

বর্তমান শাসন ব্যবস্থাটি রাষ্ট্রকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, এর পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়া বাহাত্তরের শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী যে কেউ চাইলে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা কাঠামোও বদলাতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন