সময়ের ভাবনা

পরিবেশ রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী?

ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ

প্রচলিত রাজনীতি নিয়ে অনেকের মাঝে রয়েছে প্রবল আগ্রহ। আবার এমন অনেকে আছেন যারা বিষয়টি এড়িয়ে চলেন। প্রচলিত রাজনীতির বাইরে আমরা কি কখনো পরিবেশ রাজনীতির কথা ভেবে দেখেছি? কিংবা কখনো কি পরিবেশ রক্ষা অথবা বিপর্যয়ে রাজনীতির প্রভাব কতটা তা জানার চেষ্টা করেছি? বিষয়টি বিশ্লেষণ করে অনুধাবন করা জরুরি, অন্তত বাসযোগ্য পরিবেশ পরিকল্পনার জন্য হলেও। 

পরিবেশ রাজনীতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে তিনটি মূল উপাদানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা জরুরি। যেমন পরিবেশ সম্পর্কিত রাজনৈতিক তত্ত্ব এবং ধারণাগুলোর অধ্যয়ন; মূলধারার রাজনৈতিক দল এবং পরিবেশগত সামাজিক আন্দোলন উভয়ের পরিবেশগত অবস্থানের পরীক্ষা এবং একাধিক ভূরাজনৈতিক স্তরে পরিবেশকে প্রভাবিত করে জননীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের বিশ্লেষণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর মার্কিন মুল্লুকে যে সামাজিক পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছিল তার মূলে ছিল পরিবেশগত বিষয়। যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিলে মানুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। যদিও এর আগেও পরিবেশের প্রতিকূল পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে পরিবেশবাদীদের শঙ্কা ছিল, কিন্তু যুদ্ধের পর এটি সামাজিক বিস্তৃতি লাভ করে। ১৯৫০-এর দশকের দিকে মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে সংরক্ষণের চিন্তা আসে আর পেছনে কারণ হিসেবে দেখা যায় প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি। মানুষ প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায় প্রশান্তির জায়গাটি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ নিয়ে এবং এর সঙ্গে জীবজগতের অস্তিত্বের নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বিষয়টি মানুষ অনুধাবন করতে থাকে। এরই সূত্র ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রাজনীতির বিষয়টি গুরুত্ব পায় এবং এটির নানা বিশ্লেষণ শুরু হয়। 

যুদ্ধ-পরবর্তী সময় সারা বিশ্বে শিল্পায়নের বিশেষ এক গতি লক্ষ করা যায়, যাকে অনেক সময় ‘গ্রেট অ্যাক্সিলারেশন’ নামেও অভিহিত করা হয়। এ সময়ে কিছু দেশ শিল্প, কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে এবং তারা বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। শিল্প ও কৃষিতে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে ১৯৫২ সালে যখন লন্ডন ধোঁয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তখন মানুষ বুঝতে পারে শিল্পায়ন প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রাখলেও মানুষের বসবাসোপযোগী পরিবেশ দিন দিন বিনষ্ট করছে। শিল্প-কারখানা চালু রাখার জন্য প্রয়োজন তেল, যা সমুদ্রপথে এক দেশ থেকে আরেক দেশে আনা-নেয়া শুরু হয়। বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত করে ১৯৭৬ সালে টরি ক্যানিয়ন নামের একটি তেলবাহী জাহাজ সমুদ্রে দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে তেল দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। এ সময় থেকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে পরিবেশবাদীদের প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় এবং ১৯৭০ সালের গোড়ার দিক থেকে পশ্চিমা বিশ্বে ‘সবুজ রাজনীতি’র ধারণা বিস্তৃতি লাভ করতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে স্টকহোমে আয়োজিত জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সম্মেলনের এজেন্ডায় পরিবেশ রাজনীতির বিষয়টি খোলাসা হয় এবং নীতিনির্ধারণে পরিবেশগত বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বলা চলে, এ সময় থেকেই পরিবেশবাদ বিষয়টি একটি নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে স্থান পেতে শুরু করে।

এটা স্বীকৃত বিষয় যে পরিবেশ ও জলবায়ুগত বিষয়ে নীতিনির্ধারণে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনেকটা জড়িত। গণতন্ত্রের চর্চার তারতম্যের ওপর সরকার পরিবেশগত বিষয়টিকে কীভাবে নিচ্ছে তা নির্ভর করে। এ কারণে দেশভেদে পরিবেশগত বিষয়ে গুরুত্বারোপের তারতম্য হয়। তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিদ্যমান থাকলে সেখানে জণগনের সমর্থনে যেকোনো অর্থপূর্ণ সংস্কার সম্ভব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির রাজনৈতিক অধিকার এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকটা সুরক্ষিত। ফলে সংবাদমাধ্যমও স্বাধীনভাবে খবর এবং মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ ঘটে। সে প্রেক্ষাপটে পরিবেশগত যেকোনো বিষয় মানুষ জানতে পারে এবং সম্ভাব্য সমাধানে কাজ করার সুযোগ পায়।

অন্যদিকে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে যখন তুলনা করা হয়, তখন দেখা যায় স্বৈরাচারী শাসক সাধারণের চাওয়া কোনো পরিবর্তনকে তোয়াক্কা করে না। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচনী জবাবদিহির কারণে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে, গণতান্ত্রিক সরকারে নির্বাচিত নীতিনির্ধারকরা জনগণের স্বার্থকে এবং জনমতকে প্রাধান্য দেন। কারণ জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা রয়েছে। আমরা আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলেও দেখতে পাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে স্বৈরতন্ত্রে নিপতিত রাষ্ট্রগুলো হঠাৎ করে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক রীতিনীতিকে তোয়াক্কা না করে জোর যার মুল্লুক তার গোছের সিদ্ধান্ত নেয়, যা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে জান্তা সরকারগুলো প্রায়ই পরিবেশবিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এমন সরকারের ওপর জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক সমর্থন খুব কম থাকায় আর্থিক সহায়তাগত সমস্যায় নিপতিত হয়। ফলে এরা যেকোনো মূল্যে দেশের বাস্তুতন্ত্র এবং প্রকৃতিকে ধ্বংস করে হলেও আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে চায়। সমসাময়িককালে মিয়ানমারের জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং পরিবেশ-প্রতিবেশে এর প্রভাব একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে যে, পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণে জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি। জনবিচ্ছিন্ন নেতা কিংবা রাষ্ট্র পরিচালক জনগণের কল্যাণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেকাংশেই সফল হন না। উদাহরণস্বরূপ সম্প্রতি, মিয়ানমারে সামরিক শাসন চালু হওয়ার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নেয়া প্রকল্পগুলোয় দাতাগোষ্ঠী অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে। সামরিক জান্তার উপস্থিতিতে বিদেশী সংস্থাগুলোর কাজের পরিবেশ বিনষ্ট এবং দাতাগোষ্ঠীর অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবেশ সংরক্ষণে চলমান কর্মকাণ্ড সংকটের মুখে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ এবং জলবায়ুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব আরো বাড়বে। মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি, যার বিরাট চাপ পড়েছে অর্থনীতির ওপর। অর্থনীতির এ মন্দা কাটাতে দেশটিতে প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত আহরণ চলছে। সেই সঙ্গে চলছে সাধারণ নাগরিকের ওপর দমন-পীড়ন। পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর মতে, নির্বাচিত সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জান্তা সরকার নানা দুর্নীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর বড় ধরনের বলি হচ্ছে পরিবেশ। সামরিক শাসনামলে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িতদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। তাদের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগে কোনো প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ ছাড়াই পরিবেশদূষণ, বনভূমি উজাড়সহ নানা পরিবেশবিধ্বংসী কাজ চলছে। সামরিক সরকারের নিপীড়ন আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা কথা বলার কিংবা আন্দোলনের চেষ্টা করছে তাদের দমন করা হচ্ছে কঠোরভাবে। পরিবেশবাদী লোকজন মূলত গণতান্ত্রিক পরিবেশে তাদের কর্মকাণ্ড যেমন সহজে পরিচালনা করতে পারে তেমনি জনগণের কাছে পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের করণীয়, আইন-কানুন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে সহজে। যেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত সেখানে জনগণের মতামত—সেটা যতটাই যৌক্তিক হোক—প্রকাশ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসেও এমন অনেক নজির আছে। স্বৈরাচার কিংবা জান্তা সরকারের আমলে দেশের বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে, গাছপালা কাটা হয়েছে নির্বিচারে। বৃক্ষশোভিত নগর বিরান হয়েছে, জলাভূমি নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে ইট-পাথরের মরু। সবই তো রাজনৈতিক দর্শনের ভিন্নতার ফলাফল। 

সার্বিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে অর্থনৈতিক বিষয় এবং বহিঃশক্তির প্রভাবও অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ বাদীদের কর্মকাণ্ডগুলোকে স্থবির কিংবা সীমিত করে দেয়। অনেক উন্নত গণতন্ত্রচর্চার দেশেও ব্যবসায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলো ক্ষমতাবান হয়, ফলে কিছু ক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছা পূরণ পরিবেশ সংরক্ষণের পথে বাধা হয়েও দাঁড়ায়। অন্যদিকে উন্নয়নশীল গণতন্ত্রে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি প্রায়ই কম গুরুত্ব পায় বরং সেখানে জনগণের জন্য আরামদায়ক জীবন নিশ্চিত করতে উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা যায় এবং পরিবেশের বিষয়টি সহজেই উপেক্ষিত হয়।

রাজনীতির অন্তঃরাষ্ট্র ও আন্তঃরাষ্ট্র বিরোধের প্রভাবও পরিবেশের ওপর ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। যেমন দেখা যাচ্ছে, নানা আন্তর্জাতিক প্রটোকল, কনভেনশন কিংবা চুক্তিতে সম্মত হয়ে সই করতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ প্রায়ই দ্বিধাবিভক্ত হয় তাদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে। মন্ট্রিয়ল প্রটোকল, সিটিবিটি চুক্তি, শূন্য কার্বন নির্গমন নিয়ে আন্তর্জাতিক যে রাজনীতি চলছে সেখান থেকে সত্যিকার অর্থে কতটা ভালো ফলাফল আশা করা যায় সেটাও অস্পষ্ট। অন্যদিকে কোনো রাষ্ট্রের ভেতরকার রাজনৈতিক অবস্থা পাশের দেশের পরিবেশের ওপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব ফেলছে। আমরা যেমন দেখছি আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে উজানের দেশগুলো ভাটির দেশকে বঞ্চিত করছে। রাষ্ট্র তার স্বার্থে নদীকে নিজ রাষ্ট্রীয় সীমানায় আবদ্ধ রেখে এককভাবে সম্পদ ভোগ করে, যার ফলে আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টি হয়। জলাধার, নদীর পানির ভাগাভাগি না থাকলে পৃথিবীতে শান্তি থাকবে না। বিশ্বব্যাপী পানি ভাগাভাগির সমঝোতা বিনষ্ট হলে তৈরি হতে পারে যুদ্ধ এবং তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বব্যাপী। এমনও দেখা যায়, একটি রাষ্ট্রের কেন্দ্র সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি চুক্তি করতে সম্মত, কিন্তু রাজ্য সরকার সেখানে বাদ সাধছে। এখানে মূলত অন্তঃরাষ্ট্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দায়ী। কিন্তু এর নেতিবাচক ফল ভোগ করতে হচ্ছে পাশের রাষ্ট্রকে এবং বিপর্যস্ত হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। 

বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল সাউথ, গ্লোবাল নর্থ, প্রাচ্য, পাশ্চাত্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বৈষম্য, বিদ্বেষ। ফলে এরা কখনো সমন্বিতভাবে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে এক কাতারে দাঁড়াতে পারছে না কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করছে না। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দীর্ঘ ইতিহাসে দেখা যায় শিল্পায়নের মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটাতে গিয়ে অনিয়ন্ত্রিত দূষণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিবেশের অনেক ক্ষতি সাধন করেছে এবং এখনো করে চলছে। উন্নত রাষ্ট্র তাদের ভোগবিলাসিতার উপজাত বর্জ্য বিভিন্নভাবে পাঠিয়ে দিচ্ছে অনুন্নত তৃতীয় বিশ্বে। অনুন্নত দেশের মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে এসব জঞ্জাল, বর্জ্য থেকে সম্পদ আহরণ করতে গিয়ে নিজের দেশের মাটি, পানি ও বায়ুকে করছে দূষিত, সৃষ্টি হচ্ছে সংকট ও বিপর্যয়। বিশ্বব্যাপী চলমান পরিবেশ রাজনীতির এ খেলা চলছেই। তাই প্রকারান্তরে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও রাজনীতির মারপ্যাঁচে কাজের কাজ খুব কম হচ্ছে। সুফল পেতে হলে পরিবেশ রক্ষায় চালু করতে হবে কল্যাণকর রাজনীতি, যেখানে সবার স্বার্থ সমানভাবে দেখা হবে।


ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ: অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন