আড়াই বছরের সর্বোচ্চে ভারতীয় চালের দর

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য চলতি সপ্তাহে বেড়ে প্রায় আড়াই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বলিষ্ঠ চাহিদার বিপরীতে সংকুচিত সরবরাহের প্রভাবে বাজারদরে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ভারতীয় শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল চলতি সপ্তাহে টনপ্রতি ৩৯৩-৩৯৮ ডলারে রফতানি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে রফতানি হয়েছিল ৩৮৭-৩৯৫ ডলারে।

গ্লোবাল ট্রেডিং হাউজের নয়াদিল্লিভিত্তিক এক ডিলার জানান, বছর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে রেকর্ড পরিমাণ ধান কিনেছে। উদ্দেশ্য স্থানীয় মজুদ বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় রফতানির জন্য চালের সরবরাহ কমেছে।

ভারত সরকার গত বছর রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও দেশটির রফতানি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সে সময় আকর্ষণীয় দামের কারণে ক্রেতারা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে চাল কিনেছে।

এদিকে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য বাড়লেও কমেছে থাইল্যান্ডের। চলতি সপ্তাহে দেশটি প্রতি টন শতাংশ ভাঙা চাল ৪৯৫ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহে রফতানি করা হয়েছিল ৫০০ ডলার মূল্যে। নিম্নমুখী চাহিদায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ভারতীয় চালের তুলনায় অনেক বেশি দামে থাই চাল বিক্রি হচ্ছে। এর মূল কারণ সরবরাহ সংকট মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধি। ফলে ক্রেতারা ধীরে ধীরে থাই চালের আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, সারের ঊর্ধ্বমুখী দাম সরবরাহ সংকট দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। তবে মার্চের শুরুতে বাজারে নতুন চাল উঠলে দাম কমতে পারে।

এদিকে ভিয়েতনাম ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে প্রতি টন শতাংশ ভাঙা চাল ৪৪৫-৪৫০ ডলারে রফতানি করছে। দুই সপ্তাহ ধরে দাম অপরিবর্তিত। গত মাসে দেশটি চার লাখ টন চাল রফতানি করেছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন