ইপিবির পরিসংখ্যান

সেপ্টেম্বরে ৩৯০ কোটি ডলারের রফতানি, কমেছে প্রবৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি কমেছে বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। চলতি বছর এ সময়ে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ৭ হাজার ডলারের পণ্য। আজ রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়। যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি ছিল।

পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যসমাপ্ত সেপ্টেম্বরে দেশের পোশাক রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রফতানি হয়েছে প্রায় ৩১৬ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময় রফতানি হয়েছিল ৩৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। সে হিসেবে পোশাক রফতানি কমেছে ৭ শতাংশেরও বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের মোট রফতানি অর্থমূল্যের ৮২ শতাংশের বেশি হয় পোশাক পণ্যের মাধ্যমে। এ পণ্যটির প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রভাব পুরো রফতানি খাতে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বণিক বার্তাকে বলেন, জুলাইয়ের পর আগস্টে রফতানি কমেছিল। সেপ্টেম্বরে আরো কমেছে।  প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে পোশাক রফতানি হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের।  আগামী দিনগুলোয় রফতানি আরো কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ পূর্বাভাস আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। 

তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আগের ক্রয়াদেশের কারণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। কিন্তু এখন ২০-৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কমেছে। ইউরোপের ওয়্যারহাউসগুলোয় অনেক পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে।

‘ক্রয়াদেশ স্থগিত হয়েছে’ উল্লেখ করে শহিদউল্লাহ বলেন, অক্টোবর ও নভেম্বরে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি আরো কমবে। আগামী জানুয়ারি মাস নাগাদ পরিস্থিতি ঠিক হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন