দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাইভজি স্মার্টফোনের চাহিদা কমছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

সাংহাইয়ে হুয়াওয়ের একটি শোরুমে ফাইভজি স্মার্টফোন দেখছেন ক্রেতারা ছবি: চাইনা ডেইলি

ফাইভজি নেটওয়ার্কে প্রবেশের অংশ হিসেবে সম্প্রতি স্পেকট্রাম নিলাম করেছে ভারত। বাংলাদেশেও ফাইভজি নেটওয়ার্ক পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। মূল্যস্ফীতির কারণে ফাইভজির পরীক্ষা সেভাবে শুরু করা না গেলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ফাইভজি নেটওয়ার্কযুক্ত স্মার্টফোনের চাহিদা কমছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে তথ্য জানা গিয়েছে। খবর আইএএনএস।

ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারগুলোয় ফাইভজি প্রযুক্তির বিস্তার কিছুটা গতি হারিয়েছে। মূলত ফাইভজির পরিবর্তে গ্রাহকরা বর্তমানে স্মার্টফোনের দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, স্টোরেজ, প্রসেসরের গতি ক্যামেরার মানের বিষয়ে বেশি সচেতন আগ্রহী।

গবেষণা বিশ্লেষক চিউ লে জুয়ান বলেন, ফাইভজি ডিভাইসের চাহিদা অনেকাংশে কমে গিয়েছে। প্রথমবারের মতো বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট বাজারজাত করা স্মার্টফোনের মধ্যে ফাইভজি ডিভাইসের চাহিদা ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রাহকরা ফাইভজি ডিভাইসের পরিবর্তে দীর্ঘস্থায়ী, টেকসই ডিভাইসের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এখনো ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার বা বিস্তার হয়নি। সেই সঙ্গে লো থেকে মিড রেঞ্জের ডিভাইসের জন্য এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা ফোরজির মাধ্যমেই এখন অধিকাংশ কাজ করা যায়।

জুয়ান বলেন, মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে স্মার্টফোন বাজারজাত করা উৎপাদনকারীদের জন্য খুবই কঠিন। ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্মার্টফোনের বাজারজাত কোটি ৪৫ লাখ ইউনিট ছিল। আগের প্রান্তিকের তুলনায় তা শতাংশ কম। প্রথম প্রান্তিকে ১৯ শতাংশ কমলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রিতে শীর্ষে ছিল স্যামসাং।

অন্যদিকে সবচেয়ে বড় বাজার ছিল ইন্দোনেশিয়ার। দ্বিতীয় প্রান্তিকে অঞ্চলে ৯১ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারজাত হয়েছে এবং বাজার হিস্যা ছিল ৩৭ শতাংশ। ৪৪ লাখ ইউনিট নিয়ে এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। থাইল্যান্ডের স্মার্টফোন বাজার ১৪ শতাংশ কমে ৪০ লাখ ইউনিট এবং ভিয়েতনামের বাজার ৩২ শতাংশ কমে ৩১ লাখ ইউনিটে নেমে এসেছে। মূলত বিশ্ব পরিস্থিতির অচলাবস্থা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, জীবনযাপন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় স্মার্টফোনের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে মালয়েশিয়ার স্মার্টফোন বাজার শতাংশ বেড়ে ২৪ কোটি ইউনিটে পৌঁছেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধ, চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব, চিপ সংকট উপাদান সংকটের কারণে স্মার্টফোন উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন