বাকৃবিতে শুরু হচ্ছে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে স্থাপিত হাওর চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২৮ জুলাই চারজন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনস্টিটিউটে কৃষি, মাৎস্যবিজ্ঞান, পশুপালন এবং কৃষি অর্থনীতি অনুষদ থেকে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। ক্লাস শুরুর জন্য ভবন না থাকলেও বর্তমানে একটি ভবনের অংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হাওর চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক . সুবাস চন্দ্র দাস।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বাকৃবির সাবেক শিক্ষার্থী, প্রয়াত সাংবাদিক . নিয়াজ পাশা ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে হাওর চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দীর্ঘ চার বছর অতিক্রম করলেও পরিচালক পরিবর্তন ছাড়া ছিল না দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম। তবে শিক্ষক নিয়োগের মধ্য দিয়ে ইনস্টিটিউটটির কার্যক্রম কিছুটা দৃশ্যমান হয়েছে। ইনস্টিটিউটের অবকাঠামোগত কাজ এখনো আটকে আছে কেবল নাম ফলকেই। তৈরি হয়নি কোনো ভবন।

হাওর চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের . সুবাস চন্দ্র দাস জানান, আমি কিছুদিন আগেই ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। এখানে অনেক কাজ করার আছে। এখানে বর্তমানে চারজন কর্মচারী নিযুক্ত আছেন। যার মধ্যে দুজন স্থায়ী বাকি দুজন অস্থায়ী। তবে ইনস্টিটিউটটি পরিচালনায় প্রয়োজন আরো লোকবল। শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তিটি আটকে ছিল সেটি বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক . লুত্ফুল হাসানের সহায়তায় সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে আছেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক . উত্তম কুমার সরকার। আমরা চেষ্টা করছি, ইনস্টিটিউটটিকে সচল করার। ইনস্টিটিউটের জন্য বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের করিম ভবনের নিচতলায় কক্ষ নেয়া হয়েছে। তবে এটি অস্থায়ী। মূল ভবন স্থাপিত হলে সেখানে কার্যক্রম শুরু হবে।

একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সুবাস চন্দ্র দাস জানান, আগামী বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে। ইনস্টিটিউট থেকে প্রথমে শুধু স্নাতকোত্তর দেয়া হবে। স্নাতকোত্তর কোর্সের সিলেবাস তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউটের একটি অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলমান। দুটি কমিটি এখানে কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের মিটিংয়ে বিষয়গুলো তোলা হবে। সেখানে বিষয়গুলো পাস হলে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন