বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ

দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বছর দেড়েক ধরেই বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান . এম মোশাররফ হোসেন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। একদিকে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ, অন্যদিকে ডেল্টা লাইফের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ছিল বীমা খাতের আলোচিত বিষয়। সর্বশেষ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে . মোশাররফ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য উদঘাটন হলে তিনি চাপে পড়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় অপসারণ এড়াতে গত মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। গতকাল তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা সাবেক সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীকে আইডিআরএর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের পদত্যাগ করার সম্ভবত এটাই প্রথম উদাহরণ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, . এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনবহির্ভূতভাবে বীমা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর চলতি বছরের মার্চে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পুঁজিবাজারে বীমা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়টি যাচাই করার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একজন নির্বাহী পরিচালককে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কমিটির তদন্তে . এম মোশাররফ হোসেন আইডিআরএর সদস্য চেয়ারম্যান থাকাকালীন বীমা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

বীমা কোম্পানির শেয়ারে . মোশাররফের বিনিয়োগের বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটিও আদালতকে অবহিত করতে আদেশে বলা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে উচ্চ আদালতের শুনানিতে . মোশাররফের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় প্রার্থনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আদালত তিন সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। এর পরই . মোশাররফের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়। সেটি অনুমোদন হয়ে আসার পর পরই . মোশাররফকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। একটি সূত্র বলছে, শেষ মুহূর্তেও . মোশাররফ পদত্যাগ ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার সে চেষ্টা কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

বিষয়ে গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বণিক বার্তাকে জানান, . মোশাররফের পদত্যাগপত্র তারা পেয়েছেন। বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এর কিছুক্ষণ পরই . মোশাররফের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পাশাপাশি আইডিআরএর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অন্যদিকে নতুন চেয়ারম্যান যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে আইডিআরএর সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলামকে তার নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য অফিস আদেশও জারি করা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে অপসারণ কিংবা পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে বিষয়ে প্রস্তুতি ছিল। ফলে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যেই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়েছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: ২০১৮ সালের এপ্রিল সদস্য হিসেবে আইডিআরএতে নিয়োগ পান . এম মোশাররফ হোসেন। পরে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট তাকে সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার চার মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কাছে উেকাচ দাবির অভিযোগ ওঠে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি আইডিআরএ চেয়ারম্যানের উেকাচ দাবির বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সেখানে ডেল্টা লাইফের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আইডিআরএর বর্তমান চেয়ারম্যান এক সময় ডেল্টা লাইফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোম্পানির ২০১৯ সালের অ্যাকচুয়ারিয়াল বেসিস অনুমোদন না করা, সিইওর নিয়োগ নবায়ন অনুমোদন নামঞ্জুর, নানা অজুহাতে অন্যায়ভাবে জরিমানা আরোপের হুমকি দিয়েছেন পেশাদার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট . মোশাররফ হোসেন। এমনকি তিনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে বরখাস্ত করে প্রশাসক নিয়োগেরও হুমকি দিচ্ছেন। এসব বিষয় সমাধানের জন্য ডেল্টা লাইফের যুগ্ম নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল আউয়াল আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি কোম্পানির কাছে প্রাথমিকভাবে কোটি, পরবর্তী সময়ে কোটি এবং সর্বশেষ ৫০ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। তার ঘুস দাবিসংক্রান্ত অডিও ক্লিপসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অভিযোগ জানায় ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

. মোশাররফের বিরুদ্ধে ঘুস দাবির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের চারদিন পরই গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ডেল্টা লাইফের তত্কালীন পর্ষদকে বরখাস্ত করে আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে কোম্পানিটির প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় আইডিআরএ। সেদিন বিকালেই পুলিশের সহায়তায় কোম্পানিটির কার্যালয়ে গিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে দায়িত্ব নেয়ার চার মাসের মধ্যেই তাকে সরিয়ে ডেল্টা লাইফের পরামর্শকের দায়িত্বে থাকা সাবেক যুগ্ম সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে কোম্পানিটির নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। চার মাসের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনিও পদত্যাগ করেন। এরপর সেখানে আইডিআরএর সাবেক সদস্য মো. কুদ্দুস খানকে কোম্পানিটির প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি এখনো প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিকিউরিটিজ আইনানুসারে সুবিধাভোগী ব্যক্তি যাদের কাছে কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জানার সুযোগ থাকে তাদের সে কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি আইডিআরএ আইনেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান, সদস্য কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আগেই অবহিত করার বিধান রয়েছে। তবে এর পরও কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই আইডিআরএ চেয়ারম্যান . এম মোশাররফ হোসেন বিভিন্ন বীমা কোম্পানির শেয়ারে কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে তার মালিকানাধীন লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড (এলএলওএল) গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (জিভিএআইএল) গ্রাচুইটি প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও শেয়ার, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন।

বীমা খাতের শেয়ার ছাড়াও ২০১৯ সাল থেকে তিনি ফান্ডগুলোর মাধ্যমে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, রানার অটোমোবাইলস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, স্কয়ার টেক্সটাইলস, সোনালি পেপার, ফরচুন সুজ, মাস্টারফিড এগ্রোটেক, এসিআই লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার, সাইফ পাওয়ারটেক, বিডি থাই ফুড, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনসহ অনেকগুলো কোম্পানির বন্ড বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন।

গত বছর পুঁজিবাজারের একজন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী বীমা কোম্পানিতে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিধিবহির্ভূত বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আইডিআরএ চেয়ারম্যান . এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুই কোম্পানির নামে দুটি প্রভিডেন্ট ফান্ড দুটি গ্র্যাচুইটি ফান্ড গঠন করে আইন বিধিবহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, দুর্নীতি অর্থ পাচারের অভিযোগ কেন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে দুদক বিএফআইইউর বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।

পরবর্তী সময়ে বিএফআইইউর তদন্তে . এম মোশাররফ হোসেন এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। দুদককে দেয়া বিএফআইইউর গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, . মোশাররফ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নামে পাঁচটি ব্যাংকে মোট ৩০টি হিসাব পরিচালনার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৮টি ব্যাংক হিসাবে ৪০ কোটি ৮১ লাখ টাকা জমা হয়েছে। আর ১২টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে . এম মোশাররফ হোসেনের কাছে সম্পদের হিসাব চায় দুদক। নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

. মোশাররফের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, মোশাররফ মাওয়া দম্পতির মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানের লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেডে (এলএলওএল), গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (জিভিএআইএল) কাশফুল ডেভেলপার্স লিমিটেডের (কেডিএল) কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য গ্র্যাচুইটি ফান্ড প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। সব ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান . এম মোশাররফ হোসেন, সেক্রেটারি জান্নাতুল মাওয়া অন্যতম সদস্য . মোশাররফের শাশুড়ি লাভলি ইয়াসমীন।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রভিডেন্ট গ্র্যাচুইটি ফান্ডের হিসাবে অর্থ জমা, হিসাব থেকে নগদ উত্তোলন, . মোশাররফের একক স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালনা হিসাব থেকে তার নিজের নামে এফডিআর করার নজির দেখা গেছে, যা স্বাভাবিক বলে মনে হয় না। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুসারে, প্রভিডেন্ট/গ্র্যাচুইটি ফান্ডের অর্থ কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি হিসাবে সম্পন্ন হওয়া লেনদেনের মাধ্যমে কর ফাঁকি দেয়া হয়ে থাকবে বলে সন্দেহ করছে বিএফআইইউ।

. এম মোশাররফ হোসেনের ঘোষিত পেশা, অর্থের উৎস হিসাব খোলার উদ্দেশ্যের সঙ্গে আলোচ্য হিসাবগুলোতে হওয়া লেনদেনের ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা দেখা গেছে। ফলে এসব লেনদেনের সঙ্গে ঘুস দুর্নীতির সম্পৃক্ততা থাকার সন্দেহে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ২৩()() ধারার আওতায় বিষয়ে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন গত বছরের ১৪ অক্টোবরে দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাংক হিসাবে ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ লেনদেন, প্রভিডেন্ট গ্র্যাচুইটি ফান্ডের হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে কর ফাঁকির চেষ্টা বেনামে ৫০ লাখ টাকার এফডিআর খোলার সময় অর্থের উৎস আড়াল করা এক্ষেত্রে তিনজন ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তা করার বিষয়ে তদন্ত করে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন