পাঁচ সপ্তাহ ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এতে প্রতি সপ্তাহেই এ খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। তবে গত সপ্তাহে এ খাতের কোম্পানিগুলোর টানা উত্থানে ছেদ পড়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারে। গত সপ্তাহে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে সাধারণ বীমা খাতের ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দর হারিয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ছিল ১২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে এ খাতের কোম্পানিগুলোর দৈনিক গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি টাকায়। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৭ হাজার ৮৬ পয়েন্টে। সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, একমি ল্যাবরেটরিজ ও রবি আজিয়াটার শেয়ার।
গত সপ্তাহে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৫ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৬ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। প্রকৌশল খাত ১১ শতাংশ নিয়ে লেনদেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরের অবস্থানে থাকা চামড়া খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।
ডিএসইতে খাতভিত্তিক ইতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল চামড়া খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে রিটার্ন এসেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপরে পাট খাতে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ২ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল সাধারণ বীমা খাত। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।