যশোরে অবৈধভাবে পরিচালিত মাতৃসেবা ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

যশোর শহরের মাতৃসেবা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন শেষে নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি পাল জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা প্যাথলজিস্ট ছাড়াই রোগীর অস্ত্রোপচারচিকিৎসাসেবা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলে আসছে সেখানে। এরই মধ্যে জানুয়ারি চিকিৎসক মোজাম্মেল হকের ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে আসমা বেগম (৩২) নামে এক রোগী মারা যান। এরই সূত্র ধরে ১৯ জানুয়ারি মাতৃসেবা ক্লিনিক পরিদর্শনে যান তিনি। নানা অনিয়মের কারণে ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, মাতৃসেবা ক্লিনিক স্থাপনের অনুমোদন পাওয়ার পর মালিক পক্ষ স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছিল। সেখানে রোগীর অস্ত্রোপচার, অজ্ঞান করা, নানা রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতেন ডা. মোজাম্মেল হক। নিয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি আমলে নেন নবাগত সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি পাল। ঘটনাটি তদন্তের জন্য ১১ জানুয়ারি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সাইনূর সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন জেলা সিভিল সার্জন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি পাল জানান, ১০ শয্যার প্রতিটি হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে রোগীপ্রতি ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে ন্যূনতম ৮০ বর্গফুট। জরুরি বিভাগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকিমুক্ত অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, ওষুধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থাকতে হবে। শর্তানুযায়ী তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারি দুজন সেবিকা, তিনজন সুইপার ৮০০ বর্গফুট জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছিল মাতৃসেবা ক্লিনিকটি।

এছাড়া ক্লিনিকের ছিল না হালনাগাদ লাইসেন্স। নানা অনিয়মের কারণে মাতৃসেবা ক্লিনিক বন্ধ২০ জানুয়ারি ঘোষণা করে আদেশপত্র প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন