২০২১ সালের ১১ মাস

ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিদায়ী বছর ভারতের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। দেশটির জ্বালানি তেল পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনায় পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে। আগামী মাসগুলোয়ও আমদানি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বর্তমানে ভারতের শতভাগ পরিশোধন কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু আছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে গ্যাসোলিনের চাহিদা বেড়ে মহামারীপূর্ব অবস্থায় ফিরে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

গ্লোবাল প্ল্যাটসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ভারত ১৯ কোটি ১৮ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে, যা দৈনিক ৪২ ব্যারেলের সমপরিমাণ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি দশমিক শতাংশ বাড়ে। চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন দৈনিক লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে বেড়ে দৈনিক ৫২ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশটিতে উৎপাদিত জ্বালানি পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে।

তথ্য বলছে, গত বছরের নভেম্বরে ভারত কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৪৫ লাখ ব্যারেল করে আমদানি করা হয়েছে। আগের মাসের তুলনায় আমদানি দশমিক শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২০ সালের নভেম্বরের তুলনায় আমদানি বেড়েছে দশমিক শতাংশ। এর আগে অক্টোবরে দেশটির জ্বালানি তেল আমদানি তিন মাসের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের বিশ্লেষকরা জানান, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক আমদানি প্রবৃদ্ধিতে সামনের সারিতে থাকবে চীন ভারত। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

২০২০ সালে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ভারতের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি এক বছরের ব্যবধানে ১০ দশমিক শতাংশ কমে যায়। আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ কোটি ১৫ লাখ টনে। কারণ লকডাউন অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে দেশটিতে পণ্যটির চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ে।

ভারত পণ্যটির চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করে। কিন্তু ২০২০ সালে দুই দশকে প্রথমবারের মতো দেশটির জ্বালানি চাহিদা নেতিবাচক হয়ে পড়ে। কিন্তু বছরের প্রথম থেকে আবারো চাহিদায় গতি ফিরতে শুরু করে। গত বছরের নভেম্বরে পণ্যটির ব্যবহার ১০ মাসের সর্বোচ্চে উঠে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন