নজরুলসংগীত শিল্পী
ফিরোজা
বেগমের
গান
ও
জীবন
নিয়ে
তৈরি
করা
হলো
আর্কাইভ।
বুধবার
শিল্পীর
৯১তম
জন্মবার্ষিকীতে
এক
ওয়েবিনারের
মাধ্যমে
উদ্বোধন
হলো
এ
আর্কাইভ।
www.ferozabegum.com
নামের
এ
ডিজিটাল
আর্কাইভে
থাকছে
তার
সংগীত,
সাক্ষাত্কার,
তাকে
নিয়ে
প্রতিবেদনসহ
দুর্লভ
সব
সংগ্রহ।
ফিরোজা
বেগমকে
নিয়ে
এ
আয়োজন
করেছে
এসিআই
ফাউন্ডেশন।
উদ্বোধনী
আয়োজনে
প্রধান
অতিথির
বক্তৃতায়
জাতীয়
সংসদের
স্পিকার
শিরীন
শারমিন
চৌধুরী
বলেন,
‘ফিরোজা
বেগম
আজীবন
একনিষ্ঠভাবে
নজরুলসংগীত
সাধনা
করেছেন।
ফিরোজা
বেগম
নজরুল
দর্শনকে
শুধু
আত্মস্থই
করেননি,
এর
প্রচারও
করেছেন।
সারা
বিশ্বে
নজরুলের
গানকে
ছড়িয়ে
দিয়েছেন।
এ
উদ্যোগকে
আমি
আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ
জানাই।’
ফিরোজা
বেগমের
ভাই
ও
এসিআই
ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান
এম
আনিস
উদ
দৌলার
স্ত্রী
অসুস্থ
থাকায়
তিনি
অংশগ্রহণ
করতে
পারেননি।
অনুষ্ঠান
সঞ্চালক
সাদিয়া
আফরিন
মল্লিক
তার
বক্তৃতা
পড়ে
শোনান।
তিনি
বলেন,
‘শিল্পী
ফিরোজা
বেগম
ঐশ্বরিক
কণ্ঠ
এবং
তার
একাগ্র
সাধনায়
নজরুলসংগীত
এ
উপমহাদেশে
জনপ্রিয়
করে
তোলেন।
এ
মহান
শিল্পীর
জীবন
ও
কর্মের
অনেকটাই
এ
আর্কাইভে
সংরক্ষিত
আছে।
অনুরোধ
করব,
কারো
কাছে
গুরুত্বপূর্ণ
স্মৃতিচিহ্ন
থাকলে
আমাদের
কাছে
হস্তান্তর
করবেন।
আমরা
সম্মানের
সঙ্গে
তা
এ
আর্কাইভে
সংরক্ষণ
করব।’
বিশেষ
অতিথির
বক্তৃতায়
সংসদ
সদস্য
ও
সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব
আসাদুজ্জামান
নূর
বলেন,
‘আমরা
কোনো
কিছুই
সংরক্ষণ
করি
না।
ফিরোজা
আপার
গান
যদি
হারিয়ে
যায়,
এটা
আমাদের
জন্য
অনেক
বড়
ক্ষতি
হবে।
আমরা
এ
ধরনের
কাজগুলো
যদি
আরো
বেশি
করি,
তাহলে
আমাদের
সংস্কৃতি
ও
ঐতিহ্যকে
ধরে
রাখতে
পারব।’
এছাড়া
শিল্পী
মুস্তাফা
মনোয়ার,
ফেরদৌসী
রহমান,
ফিরোজা
বেগমের
ভাই
সাবেক
সচিব
ও
গীতিকার
মোহাম্মদ
আসাফ
উদ
দৌলাহ্,
ছেলে
শাফিন
আহমেদ
স্মৃতিচারণা
করেন।
ভার্চুয়াল
এ
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে
কলকাতা
থেকে
এ
শিল্পীকে
নিয়ে
স্মৃতিচারণা
করেন
শিল্পী
অনুপ
ঘোষাল।
ভিডিও
শুভেচ্ছাবার্তা
পাঠান
আরতি
মুখার্জি,
হৈমন্তী
শুক্লা,
শ্রীকান্ত
আচার্য
প্রমুখ।
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে
আরো
অংশ
নেন
দুই
বাংলার
সংগীত
শিল্পীসহ
ফিরোজা
বেগমের
সুহূদরা।
অনুষ্ঠানের
শেষ
দিকে
ফিরোজা
বেগমকে
নিয়ে
সংগীত
পরিচালক
আজাদ
রহমানের
একটি
ধারণকৃত
বক্তব্য
প্রচার
করা
হয়।
মা
অসুস্থ
থাকায়
অনুষ্ঠানে
থাকতে
পারেননি
সুস্মিতা
আনিস।
তার
বক্তব্য
পড়ে
শোনান
সঞ্চালক
সাদিয়া
আফরিন
মল্লিক। ফিরোজা
বেগমের
জন্ম
১৯৩০
সালের
২৮
জুলাই।
তিনি
পেয়েছেন
কবি
কাজী
নজরুল
ইসলামের
দুর্লভ
সান্নিধ্য।
স্বয়ং
জাতীয়
কবির
কাছ
থেকে
গানের
তালিম
নিয়েছেন।
পৃথিবীর
বিভিন্ন
দেশে
৩৮০টির
বেশি
একক
অনুষ্ঠানে
গান
করেছেন
ফিরোজা
বেগম।
নজরুলসংগীত
ছাড়াও
তিনি
গেয়েছেন
আধুনিক
গান,
গীত,
গজল,
কাওয়ালি,
ভজন,
হামদ
ও
নাত।
এ
পর্যন্ত
তার
১২টি
এলপি,
চারটি
ইপি,
ছয়টি
সিডি
ও
২০টির
বেশি
অডিও
ক্যাসেট
বেরিয়েছে।
নজরুলসংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে পেয়েছেন নানা পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র পুরস্কার, সত্যজিৎ রায় পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্বর্ণপদক, সেরা নজরুলসংগীত শিল্পী পুরস্কার, নজরুল একাডেমি পদক, চুরুলিয়া স্বর্ণপদক, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিলিট, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কালজয়ী এ শিল্পী।