পদ্মা সেতুতে রেলপথের সব স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর রেলপথের সব স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। হাজার ৯৫৯টি কংক্রিট স্ল্যাবের মাধ্যমে দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুকে জোড়া দেয়া হয়েছে। তবে মূল সেতু থেকে মাটি পর্যন্ত পথের কাজ শেষ হলে রেললাইন বসানো হবে। পথের কাজ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রকল্পের অধীনে মূল সেতুতে রেলপথ এবং সেতুর দুই প্রান্তে ৫৩২ মিটার উড়ালপথ তৈরি করছে সেতু বিভাগ। সেতু এর দুই প্রান্তে রেললাইন বসানোর দায়িত্ব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে, যার মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

পুরো প্রকল্পের কাজ তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। এর মধ্যে সেতু উদ্বোধনের দিন মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালুর অগ্রাধিকার ঠিক করেছে রেলওয়ে। অংশের দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার, কাজ এগিয়েছে ৭৭ শতাংশ।

প্রকল্প সূত্র বলছে, রেলপথের পাশে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোসহ আরো কাজ বাকি আছে। রেল সেতুর আলাদা দুই সংস্থা এবং দুই ঠিকাদার একসঙ্গে কাজ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের আগে রেলপথ বুঝিয়ে দেয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে দুই প্রান্তে রেললাইন বসালেও সেতু চালুর প্রথম দিন ট্রেন চালানো কঠিন হবে।

সবচেয়ে বড় সেতুর যানবাহন চলাচলের পথ তৈরি করার কথা হাজার ৯১৭টি স্ল্যাব জোড়া দিয়ে। আর ২২৮টি স্ল্যাব জোড়া দিলেই কাজ শেষ হবে। তবে আগামী এক বছরে রেললাইন বসানো স্টেশনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান প্রকল্প কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সেতুর উপরের দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেললাইন বসাতেই ছয় মাস লাগবে। এজন্য গত জানুয়ারিতে সেতু প্রকল্পের পরিচালককে চিঠিও দিয়েছেন পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের পরিচালক। এতে সেতু চালুর ছয় মাস আগে রেললাইন বসানোর পথ বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। জুনে সেতু চালু করলে জানুয়ারির শুরুতেই নির্ধারিত পথ বুঝিয়ে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন