টানা সাতবারের মতো কমেছে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) সর্বশেষ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পণ্যটির মূল্যসূচক ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে যায়।
মার্চের পর থেকে নিম্নমুখিতার এ ধারা অব্যাহত আছে।
তবে মূল্যসূচক কমলেও বিশ্ববাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
ফলে এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
আইরিশ ফার্মারস জার্নাল জানায়, ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধকে জিডিটি নিলামের প্রধান পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মূল্যসূচকের পতনে মূল ভূমিকা রেখেছে এটি।
তবে মূল্যসূচকে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও গত সাত নিলামে দুগ্ধপণ্যের দাম কমবেশি অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ মার্চের প্রথম নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক রেকর্ড সর্বোচ্চে উঠেছিল।
বিশ্বের প্রসিদ্ধ দুগ্ধপণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান লেকল্যান্ড, গ্ল্যানবিয়া, কেরব্যারি ও ক্যারি মে মাসে তাদের দুগ্ধপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় সাড়া দিতে না পারায় পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে জানায় এসব প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া এশিয়ার বাজারে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের ক্রমবর্ধমান চাহিদাও বিশ্ববাজারে দুগ্ধপণ্যের দাম বলিষ্ঠ রেখেছে।
বিশ্ববাজার স্থিতিশীল থাকলেও টানা সাত নিলামে কমেছে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক।
সর্বশেষ নিলামে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ২৬০ টন দুগ্ধ সরবরাহ করা হয়।
এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২১ হাজার ৫২২ টন।
সর্বশেষ নিলামে প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় দাম ওঠে ৪ হাজার ৮৩ ডলারে।
এবারের নিলামে ১৬০ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেন।
এর মধ্যে ১০১ জন সর্বোচ্চ দামে দুগ্ধপণ্য কিনতে সক্ষম হন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার মূল্যসূচকের পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ।
পণ্যটির গড় দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৩ হাজার ৯৯৭ ডলারে নেমে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো এ পণ্যের দাম টনপ্রতি ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমেছে।
ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ ও মাখনের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ টনপ্রতি ৩ হাজার ৩৫৬ ও প্রতি টন মাখন ৪ হাজার ৬১২ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
এনজেডএক্সের ঊর্ধ্বতন দুগ্ধবাজার বিশ্লেষক ক্যাসলটন বলেন, এবারের নিলামে সর্বাধিক মাখন কিনেছে উত্তর এশিয়ার ক্রেতা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ওশেনিয়া ও ইউরোপ অঞ্চলে আগের নিলামের তুলনায় এবার মাখনের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা লক্ষ করা গেছে।
এবারের নিলামে ঊর্ধ্বমুখী ছিল অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাট, চেডার পনির ও ল্যাকটোজের দাম।
নিউজিল্যান্ড ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ন্যাট কেইল বলেন, নিলামের নিম্নমুখিতায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
নিলামের হিসাবে সামান্য কমলেও ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।