এরিকসন মবিলিটি রিপোর্ট

বছর শেষে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৮ কোটি ছাড়াবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বে ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল মাত্র সাত কোটি সম্প্রতি সুইডেনের টেলিকম পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এরিকসনের এক প্রতিবেদনের বরাতে তথ্য জানা গেছে পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিদিন নতুন ১০ লাখ ব্যবহারকারী যুক্ত হবেন খবর ইটি টেলিকম

এরিকসন মবিলিটি রিপোর্টের ২০তম সংস্করণে বলা হয়, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী ফাইভজি সবচেয়ে দ্রুত গ্রহণকারী প্রযুক্তি হিসেবে জায়গা নেবে ২০২৬ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ অঞ্চলে ফাইভজি প্রযুক্তি ছড়িয়ে যাবে এবং মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে

সেই সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ফোন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফাইভজি ডিভাইস বাজারজাত করার বিষয়ে চীন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে হিসেবে আগামী দুই বছরে বিশ্বে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ফোরজির আগেই ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ৩০০-এর বেশি ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে এবং আরো ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে

এক বিবৃতিতে এরিকসনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং নেটওয়ার্ক বিভাগের প্রধান ফ্রেডরিক জেজদলিং বলেন, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অগ্রসরমান বাজারে ফাইভজি হ্যান্ডসেটের সরবরাহ বিস্তৃতির পাশাপাশি এর উন্নত ব্যবহার এবং ভালো সেবার প্রতিশ্রুতি প্রদানের সময় হয়েছে

তিনি বলেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে যেখানে ফাইভজি প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

তবে অঞ্চলভেদে ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহারের গতিতে তারতম্য ঘটতে পারে উদাহরণস্বরূপ, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, জাপান এবং উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থার (জিসিসি) তুলনায় ইউরোপ তাদের বাজারে ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পণ্য সরবরাহের দিক থেকে পিছিয়ে আছে

২০২৬ সাল নাগাদ উত্তর-পূর্ব এশিয়াতে সবচেয়ে বেশি ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহার হবে এবং মোট ব্যবহারকারী ১৪০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিসিসির বাজারে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়ে যাবে, যা হবে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্যিকভাবে আগামী বছরগুলোতে ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে করোনা-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে ইন্টারনেট সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় বৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ১০ জিবির থেকে বেশি ২০২৬ সাল নাগাদ এর পরিমাণ ৩৫ জিবি ছাড়িয়ে যাবে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন