মৌলভীবাজারে শরীর জোড়া লাগানো যমজ শিশুদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। চিকিৎসার জন্য পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। অন্যদিকে যমজ শিশুদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল হাসপাতালে শিশু দুটিকে দেখতে যান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। এ সময় তিনি নবজাতকদ্বয় ও তাদের মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পিতা জুয়েল আহমদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান, হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, এবিএম মোজাহিদুল ইসলাম, ডিআইও-১ মোহাম্মদ আবু তাহেরসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তা ও কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নবজাতকদের পিতা জুয়েল আহমদ বলেন, চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটি আলাদা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসার জন্য বড় অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে। নিজের স্বল্প আয় দিয়ে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। পুলিশ সুপার এসে দেখে গেছেন। আর্থিক সহায়তা করেছেন। এ সময় জুয়েল তার মেয়েদের চিকিৎসায় সরকারের সহায়তা চান।
বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামীম আলম বলেন, আগে দেখতে হবে বাচ্চা দুটির হূিপণ্ড ও পাকস্থলী আলাদা কিনা। যদি আলাদা হয়, তাহলে অস্ত্রোপচার করে পৃথক করা সম্ভব। তবে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় জাতীয় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদটি দেখে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে এ দরিদ্র পরিবারের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব নয়। জেলা পুলিশের পক্ষে সামান্য আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। তবে সমাজের দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গত ৫ মে রাতে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিংরাউলি গ্রামের জুয়েল মিয়া ও তাকলিমা দম্পতির পরিবারে জন্ম নেয় যমজ কন্যাশিশু। মৌলভীবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া দুই নবজাতকের হাত, পা, মুখ ও মাথা আলাদা হলেও বুক থেকে পেট জোড়া লাগানো।