জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত করোনা টিকার একটি ডোজই নিরাপদ ও কার্যকর বলে জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রশাসন। বর্তমানে এটি যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি হবে ওয়াশিংটনের অনুমোদিত করোনার তৃতীয় টিকা। খবর বিবিসি।
এফডিএর পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এটি করোনাজনিত অসুস্থতা মারাত্মক পর্যায়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে। তবে মাঝারি মাত্রার সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গড়ে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে টিকাটি ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের চেয়ে ব্যয়সাশ্রয়ী। বিশেষ ফ্রিজারের পরিবর্তে সাধারণ রেফ্রিজারেটরেও এ টিকা সংরক্ষণ করা যায়।
চুক্তি অনুযায়ী, অনুমোদন পেলে জনসন অ্যান্ড জনসন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। আগামী জুন নাগাদ এটি সরবরাহ করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাও এ টিকার অর্ডার করেছে। এছাড়া ‘কোভ্যাক্স’ কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র দেশগুলোতেও টিকাটির ৫০ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, এ টিকা করোনার লক্ষণজনিত গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে বেশ কার্যকরী। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকর ফল পাওয়া গিয়েছে। তবে ভাইরাসের ধরন বদলে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে এর কার্যকারিতা কিছুটা কম। করোনাজনিত গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধে এটি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত।
পরীক্ষাকালে টিকা গ্রহণের ২৮ দিন সময় পর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে টিকা গ্রহণের ২৮ দিনের মধ্যে গ্রহীতাদের মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র জানান, মার্কিন প্রশাসন শিগগিরই এ টিকার ৩০ লাখ ডোজ বিতরণ করতে চায়। এজন্য এফডিএর জরুরি অনুমোদন প্রয়োজন।
জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, মার্চের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে দুই কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।