করোনার টিকা

রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে প্রয়োগ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে কভিড-১৯-এর টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে গতকাল। এর ধারাবাহিকতায় আজ রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ করা হবে।

আজ সকাল ৯টা থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ রাজধানীর আরো চারটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে টিকা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বুথ তৈরি করা হয়েছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুতকৃত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড নামের টিকার কোনো ধরনের ট্রায়াল বাংলাদেশে হয়নি। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যক্তির ওপর টিকা প্রয়োগ করে তাদের অন্তত এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, টিকা প্রয়োগের পরবর্তী পর্যবেক্ষণ কারো মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পৃথিবীতে যতগুলো টিকা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকাটি সব থেকে ভালো। এটির তেমন কোনো সাইড ইফেক্ট নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে টিকা বিতরণ কার্যক্রমে ৪২ হাজার কর্মী কাজ করবে। উপজেলা, জেলা মেডিকেল কলেজে টিকা দেয়া হবে। দেশজুড়ে সব কেন্দ্র টিকা দেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। জুন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এদিকে করোনা টিকা দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার তিনটি হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল পুরান ঢাকার ধোলাইখালে পানির পাম্প স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। সময় সবাইকে নির্ভয়ে করোনা টিকা নেয়ারও আহ্বান জানান তাপস।

মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণের দুটি হাসপাতাল একটি মাতৃসদন করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রস্তুত। এরই মধ্যে তিন হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যক্রম সমন্বয় করছে।

ফজলে নূর তাপস বলেন, টিকা নেয়ার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। আপনারা নির্ভয়ে টিকা নিন। সারা বিশ্বের মানুষ টিকা নিচ্ছে। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুতকৃত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড তিন কোটি ডোজ কিনেছে সরকার। এর মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এর আগে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড বাংলাদেশকে উপহার পাঠায় ভারত সরকার। ভারত সরকারের উপহারের টিকা দিয়েই প্রাথমিক টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন