প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ

নারীর জন্য সীমা বর্ধিত করার দাবি বিল্ডের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মোকাবেলায় বছরের শুরুতে দশমিক ১৩ ট্রিলিয়ন টাকা অর্থমূল্যের ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। সিএমএসএমই খাত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের হালনাগাদ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গতকাল ভ্যালিডেশন মিটিং অন অ্যাকসেস টু স্টিমুলাস প্যাকেজ অব সিএমএসএমইজ অ্যান্ড উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিউরস শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করে বেসরকারি খাতের থিংকট্যাংক বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি)

প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হুসনে আরা শিখা। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বেসিস, আইটিসি-শি ট্রেড, -ক্যাব, ব্যাংক অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অক্টোবর নাগাদ সিএমএসএমই খাতের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৪২ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যদিকে বৃহৎ শিল্পের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৮১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। সিএমএসএমই খাতের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তত শতাংশ সংরক্ষিত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিল্ড মনে করে, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণের পূর্বনির্ধারিত সীমা বর্ধিত করা প্রয়োজন।

সিএমএসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রেজেন্টেশনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আনা হয়। এতে বলা হয়, যেহেতু সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছেন এবং খাতটিকে এখনো অনানুষ্ঠানিক খাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, সুতরাং বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস), এসএমই ফাউন্ডেশন, বিসিক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বারগুলোর সহায়তায় উদ্যোক্তাদের একটি সমন্বিত তালিকা করা যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন