দৈনিক সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত

আরো ৩৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে তত্পরতা বাড়িয়েছে সরকার। সাধারণ মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে নিয়মিত হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইন কঠোর করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে এসব পদক্ষেপ ঠেকাতে পারছে না ভাইরাসটিতে দৈনিক সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে হাজার ৫২৫ জন, যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

বর্তমানে দেশের ১১৮টি পরীক্ষাগারের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিপরীতে পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৩৬২টি নমুনা। পরীক্ষায়  হাজার ৫২৫টি নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দেশে শুধু করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণই বাড়ছে না, বাড়ছে সংক্রমণের হারও।

দেশে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭০১টি করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে করোনা পজিটিভ এসেছে লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২টি নমুনায়। সার্বিকভাবে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের মোট রোগীর সংখ্যা যেমন প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে, আশার কথা হচ্ছে সে অনুযায়ী বড় হচ্ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় হাজার ৫৩৯ জন রোগী ভাইরাসটি থেকে সেরে উঠেছে। আর শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন। সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তবে কমছে না দৈনিক মৃত্যু। গতকালও ভাইরাসটিতে ভুগে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৬৪৪।

গতকাল যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, আটজনের বয়স ৫১-৬০, পাঁচজনের ৪১-৫০ একজনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগের, চারজন রাজশাহী, দুজন খুলনা, একজন করে মোট চারজন চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে পর্যন্ত মারা যাওয়া হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে হাজার ৯৯ জনই পুরুষ এবং হাজার ৫৪৫ জন নারী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন