যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত মঙ্গলবার সকালে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে। কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সাধারণ সার্চ সার্ভিস এবং বিজ্ঞাপনের একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের এটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মার্কিন বিচার বিভাগ এ পদক্ষেপকে মার্কিন ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে এক মাইলফলক বলে বর্ণনা করেছে।
গুগলকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখার জন্য বিভিন্ন ডিভাইস, ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার এবং ব্রাউজার ডেভেলপার কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয় গুগল।
বিচার বিভাগ অনুসন্ধান করে দেখেছে, এ ধরনের চুক্তি করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ ইন্টারনেটে কিছু খোঁজার ক্ষেত্রে যত শব্দ বা প্রশ্ন লেখেন তার ৬০ শতাংশই খোঁজা হয় গুগলে। এর আবার একটা বড় অংশের ভাগিদার হয় গুগলেরই ক্রোম ব্রাউজার অথবা গুগলের কোনো ডিভাইস। ফলে ওয়েবসার্চে গুগলের আধিপত্যের ধারেকাছে কেউ নেই।
স্ট্যাটকাউন্টার নামে একটি ট্র্যাকিং কোম্পানি ২০ লাখের বেশি ওয়েবসাইটের মাসিক ১০ বিলিয়নের বেশি পেজভিউ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের বাজার অংশীদারিত্ব ডেস্কটপ কম্পিউটারে ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ আর মোবাইল ডিভাইসে (ট্যাবলেট ছাড়া) প্রায় ৯৫ শতাংশ।
তবে মামলার বিষয়ে গুগল বলছে, এ মামলার এজাহার খুবই ত্রুটিপূর্ণ। মানুষ গুগল ব্যবহার করে কারণ তারা এটি পছন্দ করে। কাউকেই গুগলের সেবা ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয় না। মানুষ গুগলের বিকল্প পায় না বলেই সার্চইঞ্জিনে এ একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
সূত্র: স্ট্যাটিস্টা