একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

ভারী যান চলাচলের উপযোগী করতে হবে গ্রামীণ সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামীণ সড়কগুলোকে ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে হবে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে রাতে চলাচল উপযোগী করতে লাইটিং ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এগুলো সব সময় সংস্কারের মধ্যেই রাখতে হবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে। বৈঠকে ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে সেচ সুবিধা বৃদ্ধিসহ চারটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বা অনুশাসন তুলে ধরেন। সময় আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং কৃষি, পানি পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানান, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি ল্যান্ডফিলগুলো যাতে পানি দূষিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। পানির উেসর কাছে ল্যান্ডফিল করা যাবে না। এছাড়া খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, গ্রামীণ সড়কগুলোতে বিটুমিন কার্পেটিং দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। তাই গ্রামীণ রাস্তাগুলো মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সড়কে বেশি লোডের গাড়ি চলাচল করায় এগুলো টেকসই হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। এসব সড়কে বড় বড় ট্রাক চলাচল করছে। গাছসহ বিভিন্ন ভারী পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন থেকে গ্রামীণ রাস্তাগুলো অনেক বেশি মজবুত করে তৈরি করতে হবে, যাতে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো যায়।

চার প্রকল্প অনুমোদন: গতকাল একনেকের বৈঠকে যে চারটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে তার মধ্যে যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর রাজশাহীর মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মাদারীপুর, শরীয়তপুর রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৯ কোটি টাকা। আর ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন