পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে যাদের শরীরে, তাদের করোনাভাইরাসে প্রাণনাশের ঝুঁকি কম থাকে বলে নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। প্লাস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি করোনাভাইরাসের মৃত্যুহার হ্রাসের ক্ষেত্রে মূল্যবান সূত্র হতে পারে। যদি আরো গবেষণা এ ফলাফলকে সমর্থন করে, তবে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টগুলো গুরুতর কভিড-১৯-এর ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী উপায় হিসেবে ব্যবহূত হতে পারে।
নতুন গবেষণাটিতে কভিড-১৯-এর চিকিৎসা হিসেবে বিশ্লেষণের পরিবর্তে গবেষকরা রোগের তীব্রতার ওপর ভিটামিন ডি স্তরের প্রভাবগুলো দেখেছেন। তারা ইরানের তেহরানে সিনা হাসপাতালে ভর্তি ৬১১ জন কভিড রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। ১ মের আগে ভর্তি হওয়া ২০ থেকে ৯০ বছর বয়সী এ অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৫৮ দশমিক ৭ বছর এবং তাদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৪ শতাশ রোগীই ছিল ৬৫ বছরের বেশি বয়সী। গবেষকরা রোগীদের দুটি দলে বিভক্ত করেন—যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ হিসেবে বিবেচিত ভিটামিন ডি-এর মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে কমপক্ষে ৩০ ন্যানোগ্রাম রয়েছে এবং যাদের এর থেকে কম রয়েছে।
গবেষকরা করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ক্রস-চেক করে দেখতে পেলেন, যাদের ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ৩০ ন্যানোগ্রামের বেশি ছিল, তাদের অসুস্থতা কম। এছাড়া পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকা রোগীদের রক্তে লিম্ফোসাইটের উচ্চ পরিমাণ এবং সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিনের নিম্ন স্তর ছিল। এগুলো ইতিবাচক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নির্দেশ করে।
গবেষকদের অনুমান, এটা সাইটোকাইন ঝড়ের সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে, যা কভিড রোগীদের তীব্র শ্বাসকষ্টের উপসর্গের কারণ হতে পারে এবং মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তবে গবেষণাটির বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কারণে গবেষকরা এটা নিয়ে বৃহৎ আকারে অধ্যয়ন ও র্যানডম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আহ্বান জানিয়েছেন।
মেডিকেল নিউজ টুডে