দেশে কভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়লেও কমেছে পরীক্ষা ও নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল আরো ১ হাজার ১০৬ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্য দিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৩। এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরো ৩৬ জন।
মৃতের সংখ্যা বাড়লেও নমুনা পরীক্ষা কমছে দিন দিন। গত শুক্রবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১২ হাজার ৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানালেও গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ১০ হাজার ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৭৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জনে উন্নীত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ১০ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সর্বশেষ ৩৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ১২৯-এ ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে তার মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ১১ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ১২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৯৭৪ জন, যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ৪৮ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ১৫৫ জন, যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৫২।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের সবাই চল্লিশোর্ধ্ব। এদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ২১ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকা বিভাগেই, ২৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে আটজন, সিলেটে দুজন এবং খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৫ জন এবং বাড়িতে থেকে মারা গেছেন একজন। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।