হোয়াটসঅ্যাপে হয়রানি এড়াতে...

ইন্টারনেটভিত্তিক মেসেজিং ভয়েস কল সেবা পারস্পরিক যোগাযোগ অনেক সহজ করেছে। একই সঙ্গে ধরনের যোগাযোগ প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নানা ধরনের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিভিন্ন যোগাযোগ প্লাটফর্মের মতো হোয়াটসঅ্যাপও এখন নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে হয়রানির কাজে ব্যবহূত হচ্ছে। তবে ব্যবহারকারী চাইলে সাধারণ কিছু বিষয় মেনে হোয়াটসঅ্যাপে বিকৃত মানসিকতার উত্ত্যক্তকারীদের হয়রানি এড়িয়ে চলতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপে হয়রানি এড়াতে করণীয় ছয়টি বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন

*              হোয়াটসঅ্যাপে সাধারণত অপরিচিতদের এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ আগে থেকে পরিচিত না হলে হোয়াটসঅ্যাপে কারো অডিও বা ভিডিও কল রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন। বাড়তি সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন শেষে হোয়াটসঅ্যাপ ডিসকানেক্ট রাখুন। অপরিচিত কেউ বার বার কল বা মেসেজ পাঠাতে থাকলে বাক্য ব্যয় না করে ব্লক করুন। হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত কারো কল রিসিভ করা ঠিক নয়; কারণ অনেক সময় সাইবার অপরাধীরা এমন কলের মাধ্যমে আপনার নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারেন। অপরিচিতদের কাছ থেকে পাওয়া বার্তায় যুক্ত থাকতে পারে কোনো হ্যাকিং কোড। এমন বার্তা খুললে তথ্য বেহাত হওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে।

*              অপরিচিত কারো ভিডিও কল রিসিভ করার একান্ত প্রয়োজন হলে হাতের আঙুল দিয়ে সেলফি ক্যামেরা ঢেকে ধরুন। কলারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় মুখাবয়ব ব্যতীত পুরো শরীর দেখানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময় আপনার বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

*              কলারের নম্বরের শুরুতে যদি +৮৮ না থাকে, তাহলে তা রিসিভ করবেন না। বিকৃত মানসিকতার হয়রানকারী এবং অনলাইন স্ক্যামাররা সাধারণ তাদের নম্বর আড়াল করে তাদের অপকর্ম পরিচালনা করে থাকেন। কাজেই হোয়াটসঅ্যাপ কলারের নম্বরের শুরুতে বাইরের দেশের কোড থাকলে সে কল রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন এবং পরবর্তী কিছু সময়ের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ডিসকানেক্ট রাখুন। খুব সাধারণ বিষয় দেশের বাইরে কেউ থাকলে তার কলার নম্বর সম্পর্কে আপনি অবগত থাকবেন। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে কথা বলতে কেউ আপনাকে কল করার কথা নয় নিশ্চিত থাকলে সব ধরনের বাইরের কল এড়িয়ে চলুন।

*              হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখবেন না। শুধু কনট্যাক্ট লিস্টে থাকাদের জন্য প্রোফাইল ছবি এবং স্ট্যাটাস উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। প্রোফাইল পাবলিক রাখলে যে কেউ আপনার হোয়াটসঅ্যাপের দুর্বলতা সহজে অনুমান করতে সক্ষম হবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতায় ফেলতে পারে।

*              যোগাযোগের জন্য এখন প্রায় সবাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হোয়াটসঅ্যাপে কখনো চ্যাট হয়নি এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রোফাইল এবং স্ট্যাটাস মেসেজ হাইড করে রাখুন। ফোন কনট্যাক্টে গাড়িচালক, পেপার সরবরাহকারী কিংবা বাসার কাজের লোকের নম্বর থাকতে পারে। কিন্তু এমন ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাড করার কোনো আবশ্যিকতা নেই।

*              যতটা সম্ভব ধারাবাহিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কনট্যাক্ট লিস্টে অনেকেই থাকে তারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ পাঠিয়ে থাকেন। ভুলে কাজ করে এমন ভাবার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ধরনের কার্যক্রমের পেছনে থাকতে পারে বড় ধরনের কোনো উদ্দেশ্য। কাজেই ধারাবাহিকভাবে গ্রুপে যুক্ত করতে চাওয়াদের ব্লক করুন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন