তিন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্যমন্ত্রী

কভিড-১৯ পরবর্তী রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণে কাজ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কভিড-১৯-পরবর্তী রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণ করতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সময় বাণিজ্য সচিব . মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব, কুয়েত উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশী পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে।

কভিড-১৯-এর কারণে পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সুযোগ দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। এরই মধ্যে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব মন্দা অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশের রফতানি আয় ২৩ দশমিক শূন্য মিলিয়ন বেশি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতদের গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোয় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।

এগুলো বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাশিয়া একটি বড় বাজার। বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য উজবেকিস্তান বাংলাদেশের জন্য

খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রফতানি হয়েছে ২৬২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। আর কুয়েতে রফতানি হয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। অন্যদিকে উজবেকিস্তানে রফতানি হয়েছে ১৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন