সরকারি অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপনের নির্দেশনা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য বিধি নির্দেশনায় জীবানুনাশক টানেল স্থাপনের বিধান তুলে দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ১১ মে মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নিদেশর্নায় জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের বিধান ছিল।

তবে তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ ধরনের টানেলকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। টানেল স্থাপন বন্ধে একজন আইনজীবী সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিশও পাঠিয়েছেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে টানেল স্থাপনের নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই নির্দেশনাটি বাদ দেয়ায় এখন থেকে সরকারি অফিসের জন্য বাকি ১২টি স্বাস্থ্যবিধি প্রযোজ্য হবে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অফিস চালুর আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটর দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করতে হবে। 

স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত আগের নির্দেশনায় যা ছিল তার অন্যতম হলো, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা করা; অফিস চালুর আগে অশ্যই প্রতিটি অফিসকক্ষ, আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করা; প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটর দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করা।

সংশোধিত নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, অফিস পরিবহনসমূহ অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিনফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্কের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্জিক্যাল মাস্ক বা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। 

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতেহবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ান্টোইনের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।  

জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২৮ মার্চ দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য ৮ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদেরকে দেশের বিভিন্ন বিভাগ এবং অন্তর্গত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গৃহীত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সেবা প্রস্তুতি ও অন্যান্য কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সুবিধা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মতভাবে বৃদ্ধি ও কার্যকর করাল লক্ষ্যে পরামর্শ দিতে বরা হয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন