হাতকড়া পরা অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সুজন (২৫) নামের একজন হাজতি পালিয়েছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল ওয়ার্ডের একটি জানালা ভেঙে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় গতকাল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি মন্ডল বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
পলাতক সুজন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। তার পিতার নাম রঞ্জিৎ মল্লিক।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি মন্ডল জানান, সুজন যশোর শহরের বারান্দিপাড়ায় বসবাস করত। তার স্ত্রী ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় পুলিশ ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে আটক করে। পরে তাকে যশোরে এনে ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে তার করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গত রোববার রাতে ওয়ার্ডের জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাফসহ তিনি পালিয়ে যান।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশপাশের থানায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে।