লকডাউনে ভারতে ট্রাক চলাচল কমেছে ৯০ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

 নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন কার্যকর আছে ভারতে। খাদ্য ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পণ্যবাহী যানবাহনকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে এমন ছাড় সত্ত্বেও দেশটিতে পণ্য পরিবহনের প্রধান বাহন হিসেবে পরিচিত ট্রাকের চলাচল ৯০ শতাংশ কমে গেছে। খবর ব্লুমবার্গ আনন্দবাজার।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আর ভারতে প্রথম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গতকাল পর্যন্ত হাজার ১৯৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্য ভারতে লকডাউন কার্যকর করা হয়। তবে এসব পদক্ষেপের কারণে মানুষের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ছে। এতে খাদ্য থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিতে প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে ট্রাক। তবে লকডাউনের কারণে ট্রাক চলাচলও মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের (এআইএমটিসি) হিসাব অনুযায়ী, লকডাউনের কারণে ভারতে দৈনিক ট্রাক চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

এআইএমটিসিকে ভারতের পণ্যবাহী যানবাহন অপারেটরদের মূল সংগঠন হিসেবে ধরা হয়। এটি প্রায় এক কোটি ট্রাকচালকের প্রতিনিধিত্ব করে। সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল নবীন কুমার গুপ্ত বলেন, সরকার যদিও অপরিহার্য অপরিহার্য নয়, উভয় পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে, তবে মাঠ পর্যায়ে অবস্থা খুব শোচনীয়।

এআইএমটিসি জানিয়েছে, ট্রাকে পণ্য পরিবহনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে পণ্য ওঠানো-নামানো। শ্রমিক সংকটের কারণে ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। আর এদিকে লকডাউনের কারণে মহাসড়কে অবস্থিত খাবারের দোকান ওয়ার্কশপ বন্ধ হয়ে পড়ছে। এতে সড়কে থাকা অবস্থায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবহন কর্মীদের।

ভারতের সড়ক পরিবহন জনপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট মালামাল পরিবহনের প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয় সড়কপথে। আর সড়কপথে ৮৭ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করা হয়।

সড়কে পণ্য পরিবহন কমে যাওয়ায় ভারতে জ্বালানির ব্যবহারেও বড় ধরনের পতন ঘটেছে। দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেলের বাজার। আকাশপথ বন্ধ থাকায় দেশটিতে আগে থেকেই জ্বালানির ব্যবহার নিম্নমুখী। গত মার্চে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তিন খুচরা জ্বালানি তেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি প্রায় ৩৩ শতাংশ কমে গেছে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন