প্রণোদনা পাবেন প্রান্তিক খামারিরা

কোম্পানিগুলোকে দুধ সংগ্রহের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক খামারিদের জন্য মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি সংরক্ষণসহ ভোক্তার কাছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দুধ পৌঁছে দেয়ার কাজে প্রাণ, আড়ং, আকিজসহ বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে পোলট্রি ও দুগ্ধশিল্প এবং মৎস্য খাতের সংকট মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের সংকট মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি মিষ্টির দোকানগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণে দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগ ও সহায়তা কামনা করেন।

রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পরামর্শমতে করোনা সংকটকালীন সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই প্রাণিজ পুষ্টির উত্স দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এ-সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলায় মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পোলট্রি, ডিম, একদিন বয়সী মুরগীর বাচ্চা, হাঁস, মুরগী ও গবাদিপশুর খাদ্য, দুগ্ধজাত পণ্য, অন্যান্য প্রাণী ও প্রাণিজাত পণ্য, মাছ, মাছের পোনা ও মত্স্য খাদ্য সরকারঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন উত্পাদন, পরিবহন ও বিপণন সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। পোলট্রি ও মত্স্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানিকৃত কাঁচামালের পরীক্ষাগার দ্রুত চালুর বিষয়েও যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিআরটিসি ল্যাব চালু করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, খামারে উত্পাদিত দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য মিল্কভিটাকে মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ‘মাছ, মাংস ও ডিম খাওয়া ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ’ মর্মে ভোক্তা পর্যায়ে প্রচারণা চালোনোর বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।’ মাছ ও মাংসের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে করোনা মোকাবেলায় নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন