ডিজিটাল কমার্স

এককভাবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ডিজিটাল কমার্স খাতে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার সংশোধিত খসড়ায় অনুমোদন  দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া চলতি বছরের জন্য প্রস্তাবিত হজ প্যাকেজের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এবার চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ৯ জিলহজ ১৪৪১, ৩০ জুলাই ২০২০ পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। হজযাত্রীর বিমানভাড়া, সৌদি আরবে বাড়িভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মোয়াল্লেম ফি, জমজমের পানি, খাবার এবং অন্যান্য খরচ বাবদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি হজ প্যাকেজ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর জন্য একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই প্রস্তাব আজ ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১-এর আওতায় মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেশি। প্যাকেজ-২-এর আওতায় মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার টাকা বেশি। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজ-, প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।

তিনি জানান, এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসকে ঠিক করা হয়েছে। সৌদি আরবের নাছ এয়ার নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যারা পবিত্র হজ পালন করতে যাবেন, তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন গাইড নিয়োগ করা হবে। হজযাত্রীদের কোরবানির টাকা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে এবং এজন্য প্যাকেজ ছাড়া অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজকে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। সেটা হলো জাতীয় ডিজিটাল কমার্স (সংশোধিত) নীতিমালা, ২০২০-এর খসড়ায় অনুমোদন। নীতিমালাটি আগেই, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে কার্যকর ছিল। এখন কিছু সংশোধন নিয়ে আসছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর একটা হলো, ‘ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। তবে বিদেশী ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ ব্যতীত এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। এবং দেশীয় ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এটাকে পরিবর্তন করে এবার নিয়ে আসা হলো, ‘ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। বিদেশী ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কারো সঙ্গে অবশ্যই জয়েন্ট ভেঞ্চার করতে হবেএ কমপালশনটা কেটে দেয়া হয়েছে। আমাদের বিধিবিধান পালন করে এককভাবে বিদেশী প্রতিষ্ঠান আসতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন