নামি রেস্টুরেন্ট ও মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান

খাবারের মান বদলে যায় আউটলেটভেদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মান পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির লেক সার্কাস আউটলেটের স্কোর এসেছে ১০০-তে ৩৮। অথচ একই প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদপুর শাখার স্কোর এসেছে ৭২। সবগুলো আউটলেটে পণ্যের মান ধরে রাখতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করে দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

শুধু মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নয়, আউটলেটভেদে পণ্যের মানে এমন তারতম্য দেখা যাচ্ছে নামি রেস্টুরেন্টগুলোর ক্ষেত্রেও। দেশী, ভারতীয় চায়নিজ ডিশ পরিবেশনের জন্য সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে টেকআউট নামে একটি রেস্টুরেন্ট। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রেস্টুরেন্টটির বেশ কয়েকটি আউটলেটও রয়েছে। রেস্টুরেন্টটির ক্ষেত্রেও আউটলেটভেদে দেখা যাচ্ছে খাবারের মানে ভিন্নতা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়নে টেকআউটের ধানমন্ডি আউটলেট স্কোর করেছে ১০০-তে ৭১ দশমিক ১৫। আবার একই রেস্টুরেন্টের বনানী আউটলেট পেয়েছে ৮৮ দশমিক ৪৬। প্রতিষ্ঠানটির কারখানা আউটলেটের মধ্যেও দেখা গেছে স্কোরের ভিন্নতা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মান পরীক্ষায় মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত টেকআউটের কারখানার স্কোর এসেছে ৮১।

বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই একেক আউটলেটে খাবারের একেক ধরনের মান পাওয়া গেছে, যা হওয়ার কথা নয়। মানের ক্ষেত্রে সামান্য তারতম্য হতে পারে। কিন্তু এখানে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং সনদ দেয়া হয়নি। পাশাপাশি তাদের জানুয়ারি পর্যন্ত মান উন্নয়নের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

দশটি সূচকের ভিত্তিতে রেস্টুরেন্ট মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রেড নির্ধারণ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রথম সূচক ধরা হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রামাণিক নথিপত্র, যেখানে খাদ্য প্রস্তুতকারী কর্মীদের সিভিল সার্জন বা সরকারি অনুমোদিত মেডিকেল কলেজ থেকে দেয়া ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সনদ যাচাই করা হয়। দ্বিতীয় সূচকে রয়েছে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধান। এক্ষেত্রে খাদ্যকর্মীদের কোনো ধরনের সংক্রামক রোগ রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা হয়। খাদ্য তৈরির কাঁচামাল অনুমোদিত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা তা দেখা হয়েছে তৃতীয় সূচকে। চতুর্থ সূচকে যাচাই করা হয় পারস্পরিক দূষণের বিষয়টি।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি যাচাই করা হয় পঞ্চম সূচকে। ষষ্ঠ সূচকে স্কোরিংয়ের ভিত্তি ধরা হয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিকে। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি সরঞ্জামের মান দেখা হয়েছে সপ্তম সূচকে। অষ্টম সূচকে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন