সকালের নাশতা নিঃসন্দেহে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালে ভরপেট নাশতা করলে দিনের অন্য সময়ে আপনার খুব বেশি খিদে লাগবে না। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর জন্য সকালের নাশতা জরুরি। তবে অস্বাস্থ্যকর নাশতা করার পরিবর্তে তা এড়িয়ে যাওয়াকে ভালো বলছেন গবেষকরা। আবার নাশতা শরীরের ওজন কমাতেও সহায়ক হয় না। যদিও পুষ্টিকর ও সুষম নাশতা গ্রহণ আপনাকে শক্তি দেবে এবং দিনের বাকি সময়গুলোয় বেশি পরিমাণে খেতে বাধা দেবে। চলুন দেখে নিই, বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ভিত্তিতে সকালের সেরা নাশতা কী—
ডিম
ডিম অনস্বীকার্যভাবে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। ডিমকে ‘সুপারফুড’ও বলা হয়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস। প্রোটিনের ভালো উৎস এ ডিমে ক্যালরির পরিমাণও কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাশতায় ডিম খেলে পূর্ণতার অনুভূতি বাড়ায়, পরবর্তী খাওয়ার সময়গুলোয় ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার ও ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পুরুষরা সকালের নাশতায় ডিম খেয়েছিল, তারা বেশি সন্তুষ্ট বোধ করেছেন এবং দিনের বাকি সময়গুলোয় ডিম না খাওয়া পুরুষদের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ডিমের কুসুমে লুটিন ও জেক্সানথিন থাকে। এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো চোখের ব্যাধি যেমন ছানি ও ম্যাকুলার ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দই
দই দেহের জন্য কার্যকর একটি খাবার। এটা সুস্বাদু ও পুষ্টিকরও বটে। এক্ষেত্রে গ্রিক দই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। ছানা ও দুধের অন্যান্য তরল উপাদান থেকে এটি তৈরি করা হয়। এতে অত্যধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রোটিন ক্ষুধার অনুভূতি হ্রাস করে এবং ফ্যাট ও শর্করার চেয়ে বেশি তাপীয় প্রভাব ফেলে। দই এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য পিওয়াইওয়াই ও জিএলপি-১-এর মতো হরমোনগুলোর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পূর্ণ চর্বিযুক্ত দইয়ে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড (সিএলএ) থাকে, যা চর্বি হ্রাস করে এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গ্রিক দইয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে এবং ওজন হ্রাস করে। এছাড়া এতে নির্দিষ্ট কিছু উপকারী প্রোবায়োটিক রয়েছে।
কফি