জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ‘অবাধে ও নিরাপদে’ ফিরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। বাংলাদেশ এ সমস্যা একা সমাধান করতে পারবে না। এজন্য রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে মিয়ানমারেরও পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বান কি মুন।
বান কি মুন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। এজন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আরো সহানুভূতিশীল হতে হবে, যাতে রোহিঙ্গারা অবাধে ও নিরাপদে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রশংসা করার মতো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ১৯৭০ সালের সাইক্লোনসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখেছে। ফলে এক্ষেত্রে নদীর তীর রক্ষা, সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিনিয়োগ বেশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করেছে বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশ এ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বান কি মুন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার পক্ষ থেকে চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন। জাতিসংঘ প্রধানের দায়িত্ব ছাড়ার পর চলতি বছর এটি তার দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। জাতিসংঘের সাবেক প্রধান গতকাল বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তনে অংশ নেন তিনি। এর আগে তিনি গতকাল তার সম্মানে আয়োজিত ব্র্যাকের এক মধ্যাহ্নভোজনে যোগ দেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায়ই ঢাকা ত্যাগ করেন বান কি মুন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘অভিযোজনের ওপর গ্লোবাল কমিশনের ঢাকা বৈঠকে’ অংশ নিয়েছিলেন।