যশোরে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের লাথির আঘাতে আব্দুর রাজ্জাক (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে যশোর নতুন উপশহরের সারথী মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জড়িত বখাটে হোসেন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়েকে (২০) প্রায়ই উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত প্রতিবেশী হোসেন আলী। এরই মধ্যে কৌশলে বখাটে হোসেন আলী রাজ্জাকের মেয়ের কিছু ছবি ও অন্য কারোর ফোনালাপ রেকর্ড করে। এসব ছবি ও রেকর্ড ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবার তার মেয়ের কাছে কুপ্রস্তাব দেয়।
সম্প্রতি এসব ঘটনা রাজ্জাকের মেয়ে তার পরিবারকে জানায়। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে বাবা রাজ্জাকের সঙ্গে হোসেনের একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে গতকাল আবার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হোসেন আলীকে একটি চড় মারেন রাজ্জাক। এতে হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাকের বুকে লাথি মারেন। এতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা রাজ্জাককে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, রাজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফের হাসপাতাল মর্গে নিয়ে এসেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি সেলফোনে ছবি তোলা নিয়ে বিরোধের কারণে আব্দুর রাজ্জাক খুন হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন আলী পুলিশ হেফাজতে আছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ পেলে মামলা হবে।