কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে নাচের আন্তর্জাতিক উৎসব ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’। এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে এ উৎসবে যোগ দেবেন দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার
সৈকতে বেজে উঠবে নূপুর। ঢেউয়ের তালে নেচে উঠবেন নৃত্যশিল্পীরা। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে নাচের আন্তর্জাতিক উৎসব ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’। এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে এ উৎসবে যোগ দেবেন দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার। চার দিনব্যাপী এ উৎসবের পর্দা নামবে ২৫ নভেম্বর।
বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএএপি) বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো শুরু করতে যাচ্ছে ‘ওশান ডান্স ফেস্টিভ্যাল’ নামে এ দ্বিবার্ষিক নৃত্য উৎসব।
মূলত বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের মেলবন্ধন রচনার জন্যই এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
উৎসবের প্রিন্সিপাল কিউরেটর ও নৃত্যযোগের সাধারণ সম্পাদক লুবনা মারিয়াম বলেন, ‘এ
উৎসব সাংস্কৃতিক-কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক-পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা অঙ্গীকার করছি, জাতিকে একটি বিশ্বমানের উৎসব উপহার দেব।’
এ উৎসবের অন্যতম শিল্পী শিবলী মহম্মদ বলেন, ‘আমাদের
দেশে এত বড় একটা উৎসব হতে যাচ্ছে, শিল্পী হিসেবে আমি ভীষণ গর্বিত। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।’
উৎসবে থাকবে বক্তৃতা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন, সেমিনার, কর্মশালা, নৃত্য পরিবেশনা। এ বছরের বিষয়বস্তু ‘দূরত্বের সেতুবন্ধ’, অর্থাৎ
সমাজের ভেতরকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দূরত্বকে নাচের মাধ্যমে পূরণের ধারণা তুলে ধরা হবে। বক্তব্য উপস্থাপন করবেন ভারতীয় শিল্পী লীলা স্যামসন, ডব্লিউডিএ-এশিয়া প্যাসিফিকের সভাপতি ড. ঊর্মিমালা সরকার, বাংলাদেশের শিল্পী ও ডব্লিউডিএ-এশিয়া প্যাসিফিকের সাধারণ সম্পাদক লুবনা মারিয়াম। এছাড়া এ উৎসবে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নৃত্যশিল্পী আকরাম খানের পাঠানো তার প্রযোজিত একটি ভিডিও প্রদর্শিত হবে।
উৎসবের চারদিন সকাল থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্টসংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা ও সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভাল মিলনায়তনে থাকবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও নৃত্যনাট্য।
বিদেশী শিল্পীদের মধ্যে থাকবে তাইওয়ানের নৃত্য প্রযোজনা ‘বাটু উইথ অর্নামেন্ট’, ‘নট
অ্যালোন’, ‘ইমপ্রেশনস
অব আওয়ার হোম টাউন’, ‘গ্রেটার
দ্যান টু লেস দ্যান’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজনা ‘ত্রিকোণ কানেক্টিভিটি’। ভারতের প্রযোজনা ‘এজেস’, ‘ইন্ট্রানসিট’,
‘আনশেয়ারড ডিজায়ারড’, ‘টাচ
দ্য সাউন্ড’। কোরিয়ার প্রযোজনা ‘স্প্রিং কামিং উইথ আ ওয়ার্ম ব্রিজ’ ও চীনের প্রযোজনা ‘টয়লেট পাম্প’।
দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাসের ‘রূপান্তর’, জুয়েইরিয়াহ মৌলির ‘অর্ধনারীশ্বর’, শাম্মী আক্তারের ‘মাইন’, আনন্দিতা খানের ‘রিফিউজি’, মৌমিতা জয়ার ‘রিলিজিয়ন: আ কজ অব কনফ্লিক্ট ইন কালচার’, আবু নাঈম খানের