ফতুল্লা থানার ভেতরে ব্যবসায়ীকে মারধর

আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, পরিদর্শক প্রত্যাহার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরে গত শুক্রবার রাতে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে মামলাটি করেন মারধরের শিকার ব্যবসায়ী সিকদার সেলিম।

এদিকে দায়িত্বে অবহেলা ও থানার ভেতরে মারধরের ঘটনায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফতুল্লার কুতুবপুরের মীর হোসেন মীরুর লোকজন কুতুবপুর ইউনিয়নের বউবাজার এলাকার মুরাদ হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই মুরাদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরের দিন রাতে তাদের থানায় যেতে বলেন। পরদিন ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন সিকদার সেলিমকে নিয়ে থানায় যান। কিন্তু মীর সোহেল আলী ও তার লোকজন তাদের দেখেই উত্তেজিত হয়ে মারধর শুরু করেন। পরে সোহেল আলী সেলিমকে টেনেহিঁচড়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামানের কক্ষে নিয়ে যান। কিন্তু কক্ষে নেয়ার পর পরিদর্শক হাসানুজ্জামান সোহেল আলীর পক্ষ নিয়ে উল্টো সেলিমকে ধমক দেন। এর পরই ব্যবসায়ী সেলিম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে মীর সোহেল ও তার সহযোগী শাহীন মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মীর সোহেল আলী বলেন, মারধর নয়, তবে বাগিবতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইওয়ান) মোমিনুল ইসলাম বলেন, হাসানুজ্জামানকে মূলত প্রশাসনিক কারণে থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন