আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

বণিক বার্তা অনলাইন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার (১৩নভেম্বর) আলোচিত এই মামলায় পুলিশ আদাতলে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন আসতে হয়, আবেদন আসলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা (নিষ্পত্তি) করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দ্রুততার সাথে করার জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ বিচারকার্য করব।

বিচার শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হলে এ বিচার প্রথম সময় হচ্ছে ৯০ দিন, এর পরে হচ্ছে ৩০ দিন, সর্বমোট ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন না করতে না পারলে পরে আরও ১৫ দিনের সময় আছে অর্থাৎ ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।”

আইনমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতি সময়ে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচার শেষ করার হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। দেশের জনগণ চেয়েছে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করার জন্য, সেটাও সম্পন্ন করা হয়েছে, এরকম অনেক বলা যাবে। এখন দায়িত্ব বর্তেছে আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে।

এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে এই মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, আবরার হত্যায় সরাসরি অংশে নেয় ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত রয়েছে। মোট হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। আসামি ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তাঁরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

বাকি ৫ জনের নাম তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা হলেন, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। পলাতক আছেন চারজন। পলাতক জিসান, তানিন ও মোর্শেদের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে ।এজাহারের বাইরে আরেক আসামি হলেন রাফি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন