মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বের অনেক দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশও এর অন্যতম। কিন্তু বেশি লাভের আশায় খামারিদের কিছু মন্দচর্চার কারণে মাছের খাদ্যমান সঠিকভাবে রক্ষিত হচ্ছে না। পাশাপাশি পানি ও পরিবেশের জন্য তৈরি হচ্ছে ঝুঁকি। বিশ্বব্যাপীই এখন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে মৎস্য চাষে পরিবর্তনের দাবি উঠছে। টেকসই খামার ব্যবস্থাপনা চর্চা আয়ত্ত করতে বাধ্য হচ্ছেন মৎস্যচাষীরা। তবে এতে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের মৎস্যচাষীদের মধ্যে আশানুরূপ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ উদ্বেগ নিরসনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) টেকসই ও অধিক উৎপাদনশীল কিছু মৎস্য চাষ পদ্ধতির ধারণা দিয়েছে
মাছ বা জলজ প্রাণীর ঘনত্ব, খাদ্য
সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনার বিচারে মৎস্য চাষকে বৃহদাকার ও নিবিড় চাষ—এই দুই
পদ্ধতিতে ভাগ করা যেতে পারে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রধানত যেসব জলজ প্রাণীর চাষ হয়, এর
অন্যতম কয়েক প্রজাতির স্বাদুপানির প্রাণী এবং সামুদ্রিক প্রাণী যেমন উচ্চমূল্যের
চিংড়ি প্রজাতি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শ্যাওলার পাশাপাশি কার্পজাতীয় মাছ, শামুক, ঝিনুক
ও লাল সি-উইড।
জনপ্রিয় চাষ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে: পুকুর, চৌবাচ্চা
ও খাঁচায় মাছ চাষ; ভাসমান ভেলা, রশি ও খুঁটিতে কাঁকড়া ও সামুদ্রিক শ্যাওলা চাষ; ঝোলানো
রশিতে শামুক ও মুক্তা ঝিনুক চাষ;
সমুদ্র উপকূলে খাঁচায় স্যামন চাষ; পুকুরে
চিংড়ি, তেলাপিয়া, শিং-মাগুর ও মিল্কফিশ
(ইলিশের মতো দেখতে) চাষ এবং স্বাদুপানিতে চৌবাচ্চায়
ক্রেফিশ (বাগদা চিংড়িজাতীয়)
চাষ অন্যতম।
মৎস্য চাষের আধুনিক পদ্ধতি