মোসাদ্দেক আলীর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদের মামলায় মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর ৩৪৩ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়ে আদালতের আদেশের পর গতকাল সম্পত্তি জব্দের উদ্যোগ নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন বুধবার মোসাদ্দেক আলীর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশের পর গতকাল রোজা প্রপার্টিজ লিমিটেডে মোসাদ্দেক আলী ফালুর মালিকানায় থাকা ৯৩ কোটি টাকা মূল্যের ৯৩ লাখ শেয়ার জব্দ করে দুদক। তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার মালিকানায় থাকা রাকীন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিডি লিমিটেডের ২০ শতাংশ শেয়ারও জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। এছাড়া রোজা এন্টারটেইনমেন্ট এফজেডইর ২০ লাখ টাকার শেয়ার, রোজা ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার আইএফআইসি ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় রোজা প্রপার্টিজ লিমিটেডের নামে রক্ষিত অর্থও জব্দ করা হচ্ছে। রাজধানীর কাকরাইলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ২৩ শতাংশ বাণিজ্যিক প্লটও জব্দের তালিকায় রয়েছে।

অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ মে মোসাদ্দেক আলীসহ চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোসাদ্দেক আলী সংশ্লিষ্টরা ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, থ্রি স্টার লিমিটেড ডেভেলমেন্ট ইইউই নামে অফশোর কোম্পানি খোলেন এবং বাংলাদেশেদুর্নীতির মাধ্যমেঅর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন। দুবাইয়ে ওই অর্থ উপার্জনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে, তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনো জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতিও নেননি।

মামলার তদন্তে নেমে দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে জানতে পারেন, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর বিভিন্ন সম্পত্তি অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে বিভিন্ন জায়গায় যাচাইয়ের চিঠি দিলে এসব লুক্কায়িত সম্পদের তথ্য পান। এসব সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ নেই। আসামি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী অবৈধ উপায়ে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্ট করছেন বলেও দুদক কর্মকর্তারা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারেন। মামলা নিষ্পত্তির আগেই এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে এমন যুক্তি দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ১৮/মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ১৪ ধারার আওতায় অপরাধলব্ধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করতে আদালতে আবেদন করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মোসাদ্দেক আলীর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন।

এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতেও রাজধানীর উত্তরখানে দুটি স্থানে মোসাদ্দেক আলীর মালিকানায় থাকা মোট ৬৭ শতাংশ জমি, বড় মগবাজারের পাঁচ স্থানে ৪৫ শতাংশ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন