অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে—প্রধানমন্ত্রী

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, সে যে-ই হোক এবং যে দলই করুক না কেন। আজারবাইজানের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় বাকুর হিলটন হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যদি আমাদের দলের কেউ অপরাধে জড়িত হয়, সে-ও তত্ক্ষণাৎ শাস্তি ভোগ করছে। অপরাধীরা অপরাধীই। আমরা অপরাধীদের অপরাধীর দৃষ্টিতেই দেখব। সেটাই আমরা দেখার চেষ্টা করছি। অন্যকে শিক্ষা দেয়াটা নিজের ঘর থেকেই শুরু করা উচিত। আমি সেটাই করছি এবং এটি অব্যাহত রাখব।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে একজন প্রবাসীর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী অন্য বন্দিদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী একজন গৃহপরিচারিকা কারাগারে তার সঙ্গে রাখা হয়েছে। তার মানে খালেদা জিয়াকে কারাগারে তিনি সেবা করছেন। কারাগারের ইতিহাসে বা কোনো দেশে এমন নজির নেই, কোনো নিরপরাধী গৃহপরিচারিকা একজন বন্দির সঙ্গে কারাগারে অবস্থান করে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই সুবিধা ভোগ করছেন। বিএনপি বলছে খালেদা জিয়া অসুস্থ, কারণ তারা তার মুক্তির দাবিকে আন্দোলনের ইস্যু বানাতে চাইছে। কিন্তু বিএনপি তার মুক্তির আন্দোলন বা জনমত গঠন করতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অভিযানগুলোয় আমরা ভালো ফল পাচ্ছি। কারণ মাদক একটি ব্যক্তি ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। আমি ক্ষমতায় আসার পর সর্বাত্মকভাবে দেশের ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আবাস গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু কিছু এনজিও তাদের সেখানে যেতে দিতে চায় না।

দেশে স্বাস্থ্য, আইসিটি, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাফল্যের কারণে বিশ্বে উন্নয়নের জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথাও স্বীকার করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আরো ১০টি বোয়িং এয়ারক্রাফট কিনে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান নেটওয়ার্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন