বছরে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী বিদেশ যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত ১২ বছরে বেড়ে হয়েছে প্রায় চার গুণ। ইউনেস্কোর ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিকসের (ইউআইএস) তথ্য বলছে, ২০০৫ সালে বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬ হাজারে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠান যেখানে অদূর ভবিষ্যতে বৈশ্বিকভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার সম্ভাবনা দেখছে, সেখানে বাংলাদেশসহ কিছু দেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রবাহ আগামী বছরগুলোয় আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখিতার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর প্রাচুর্য, দেশে উচ্চশিক্ষার অপ্রতুল সুযোগ এবং একই সঙ্গে দেশের বাইরে পড়ার খরচ জোগাতে সক্ষম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উন্মেষ। বিশেষ করে ঢাকা চট্টগ্রামে শ্রেণীর বিকাশ লক্ষ করার মতো। দ্য বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের অনুমান, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত বিত্তবান শ্রেণীর মানুষ বছরে ১০ শতাংশেরও বেশি হারে বাড়ছে। ফলে শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা ২০২৫ সাল নাগাদ কোটি ৪০ লাখে পৌঁছবে, ২০১৫ সালে যেখানে সংখ্যাটি ছিল কোটি ২০ লাখ।

নিম্ন জীবনমান, দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তাও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী করছে। বিদেশে পড়তে যাওয়া এসব তরুণের অধিকাংশই ধনী পরিবারের। আর তাদের পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি, যাদের অনেকেই পাঠ শেষে আর দেশে ফেরেন না।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ আয় করছেন। আয় তাদের সন্তানদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে বহির্গমনে উৎসাহিত করছে। অবৈধ পন্থায় উপার্জিত আয়ে তারা সন্তানদের বিদেশে পড়াচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, অনেকে কালো টাকা পাচার করার জন্যও সন্তানদের বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ অভিভাবকরা দেশ থেকে টাকা পাচার করে সন্তানদের বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করছেন। পাশাপাশি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোরও বড় ধরনের দুর্বলতা আছে। গত দুই দশকে দেশে অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সত্য, কিন্তু মানসম্মত প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি। কারণেও অনেকে বিদেশমুখী হচ্ছেন। তবে বিদেশী ডিগ্রি মানেই যে ভালো, এমন নয়। উচ্চশিক্ষার নামে নামসর্বস্ব কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়ে এলে কোনো উপকার হবে না, বরং ডিগ্রির পাশাপাশি উদ্ভাবনী জ্ঞান আহরণকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।

শতকের শুরুতে আন্তর্জাতিক ডিগ্রিপ্রত্যাশী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগেরই

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন