বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে নিহতের শরীরে গুরুতর জখমের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বুয়েট ছাত্রলীগের চার নেতাসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ হয়েছে দেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে তার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আবরারের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়।
ময়নাতদন্তের পর ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, আবরারের শরীরে অসংখ্য জখমের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে দুই হাত ও পায়ের নিচের অংশের জখমগুলো মারাত্মক। ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাকে। ফরেনসিকের ভাষায় একে বলে ব্লান্ট ফোর্সেস ইনজুরি। এ ধরনের ইনজুরিতে শরীরে প্রচুর ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ইন্টারনাল রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন আবরার ফাহাদ। এরপর বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগে ভর্তি হন। এ বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। ৫ অক্টোবর ফেসবুকে দেয়া সর্বশেষ পোস্টে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করেন।