চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন অংশে পানির মান ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি খারাপ হচ্ছে ভারী শিল্প এলাকার পানির মান। পরিবেশ অধিদপ্তরের গত কয়েক মাসের প্রতিবেদন বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল), টিএসপি কমপ্লেক্স, চাক্তাই খালের মুখ এলাকায় কর্ণফুলীর পানিতে সবচেয়ে বেশি দূষণ পাওয়া গেছে। দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের দূষণে এ পয়েন্টের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) সবচেয়ে বেশি কমে গেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কর্ণফুলী নদীর আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন সিইউএফএল পয়েন্টে আগস্টে ডিও পাওয়া গেছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ মিলিগ্রাম। একই পয়েন্টে জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৪০। পতেঙ্গার টিএসপি (রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা) পয়েন্টে জানুয়ারিতে প্রতি লিটার পানিতে ডিও ছিল ৭ দশমিক ৯০ এবং আগস্টে ৭ দশমিক ১০ মিলিগ্রাম। এছাড়া চাক্তাই পয়েন্টে জানুয়ারিতে প্রতি লিটার পানিতে ৭ দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকলেও আগস্টে পাওয়া গেছে ৪ দশমিক ২০ মিলিগ্রাম। যদিও পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ৬-এর নিচে হলে তাকে জলজ প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয়।
অন্যদিকে পানির জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের চাহিদার (বিওডি) আদর্শ মাত্রা প্রতি লিটারে ৩ থেকে ৫ মিলিগ্রাম। যদিও আগস্টে সেই মাত্রা কর্ণফুলীর আনোয়ারার সিইউএফএল পয়েন্টে পাওয়া গেছে ৭ দশমিক ৪০ মিলিগ্রাম, পতেঙ্গার টিএসপি পয়েন্টে পাওয়া গেছে ৪ দশমিক ৯০ ও চাক্তাই পয়েন্টে ২৬ মিলিগ্রাম। একে অস্বাভাবিক বলছেন রসায়নবিদরা।
এদিকে কর্ণফুলী নদীর রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদার (সিওডি) পরিমাপ গত আগস্টে আনোয়ারার সিইউএফএল পয়েন্টে পাওয়া গেছে ৬৬ মিলিগ্রাম, পতেঙ্গার টিএসপি পয়েন্টে ১২ মিলিগ্রাম এবং চাক্তাই পয়েন্টে ৮৯ মিলিগ্রাম। প্রতি লিটারে সিওডির মাত্রা ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম হলে তাকে জলজ প্রাণীর জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, দেশের অন্য নদী থেকে কর্ণফুলী সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর তলদেশে পলি জমে যাচ্ছে। এর একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ও বন্দর চ্যানেলে। তাছাড়া বন্দরনগরীতে স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় নদীতে পয়ঃ, গৃহস্থালি ও শিল্প-কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য মিশছে কর্ণফুলীতে। শুধু এক সিটি করপোরেশনই নানা ধরনের বর্জ্য ফেলছে প্রায় ৮০০ টন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে ৫০-এর বেশি ধরনের রাসায়নিক বর্জ্য
- ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে ইইউ
- আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
- আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির শপথ গ্রহণ
- মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
- দেশজুড়ে ‘এমপি-রাজ’ সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীনরা —রুহুল কবির রিজভী