নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নগদ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধাসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জামাল হোসেন মৃধা (৪৫) ও তার দুই সহযোগী মোস্তফা (৩৫) ও মানিক (৩৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক দাবি করলেও কোন অনুমতিপত্র, লাইসেন্স কিংবা কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পানেনি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোন উৎসও দেখাতে পারেনি। পুলিশের ধারণা, এই টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যেমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে এবং জামাল হোসেন কয়েল ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে একটি গোপন খবর আসে যে জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান আসবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিকেল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ায়। মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে রসুলপুর এলাকায় অবস্থিত জামাল হোসেন মৃধার চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্লাটে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি ট্রাংক থেকে এক কোটি টাকা এবং আলমারি থেকে ২৫ লাখ এবং বাসার নিচ তলার ফ্লাটের জামাল হোসেন মৃধার অফিস থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এসপি হারুন অর রশীদ জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে এবং মাদকদব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় কয়েল ফ্যাক্টরি নির্মাণ করে পরিবেশের ক্ষতিসাধান ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় পরিবেশ আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত জামাল হোসেন মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে চাওয়া হবে। তিনি বাড়িতে এত টাকা কী কারণে রেখেছিলেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কত টাকার মালিক হয়েছে এবং তার সাথে কোন জঙ্গি সংগঠনের সশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।