বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ১২ কেজি এলপি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৩৫ টাকা বাড়ল। চলতি অক্টোবর মাসের জন্য এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
কমিশনের দাম ঘোষণায় দেখা গেছে, ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা।
বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এ দাম ঘোষণা দেন। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, গত ছয় মাস যাবৎ আন্তজাতিক বাজারে বিউটেন ও প্রোপেনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে দেশের বাজারে চলতি মাসেও দাম কিছুটা বাড়ছে।
বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী, অক্টোবরের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের
দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা। যা সেপ্টেম্বরে সমপরিমাণ সিলিন্ডার গ্যাসের
দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। ঘোষিত নতুন দর আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে
কার্যকর হবে।
বুধবার বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন
সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।
বিইআরসির নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ
(মূসক বা ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা, যা গত মাসে ছিল
১১৮ টাকা ৪৪ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুনে ১২ কেজি এলপি সিলিন্ডারের
দাম বেঁধে দেয়া হয় ১ হাজার ৩৬৩ টাকা, জুলাইয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে করা হয়
১ হাজার ৩৬৬ টাকা, আগস্ট মাসে করা হয় ১৩৭৭ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৪২১ টাকা আর চলতি
মাসের জন্য তা করা হয় ১ হাজার ৪৫৬ টাকা। এর ফলে গত পাঁচ মাসে ১২ কেজি এলপি সিলিন্ডার
গ্যাসের দাম অব্যাহতভাবে পাঁচ দফায় মোট ৯৩ টাকা বাড়ানো হয়।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা
হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার
৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা, যা এতদিন ছিল ৬৫ টাকা ২৬ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি
তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান
আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এ সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে
দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে
গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।