জ্বালানি নিরাপত্তা

জ্বালানি রূপান্তর কেন ও কার স্বার্থে

ড. এম শামসুল আলম

ছবি : বণিক বার্তা

প্রকট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট এবং চরম আর্থিক ঘাটতি মোকাবেলায় ন্যূনতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংস্কার/রূপান্তর এখন জরুরি। ২০০৯ সালে বিগত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুৎ সংকট প্রকট ছিল। তখন জ্বালানি বা আর্থিক ঘাটতির কথা শোনা যায়নি। উৎপাদনক্ষমতা স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত ছিল। বিগত সরকার যাওয়ার সময় ২০২৪ সালে প্রকট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, চরম আর্থিক ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অসহনীয় মূল্যস্ফীতি রেখে গেছে। কম-বেশি ১০ শতাংশ বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে ৬ শতাংশের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। অব্যাহত সংকটে মূল্যবৃদ্ধিও অব্যাহত। এখন বিপরীত পরিস্থিতি তথা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট অব্যাহত হ্রাসে মূল্যহ্রাস নিশ্চিত করার জন্য সংস্কার দরকার। এটিই বর্তমান সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। 

এ শতাব্দীর শুরুর দিকে ন্যূনতম মূল্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্যাস, কয়লা ও বিদ্যুৎ রফতানির প্রচেষ্টা জনগণের আন্দোলনের মুখে প্রতিহত হয়। রফতানি প্রতিহত হলেও সেই লক্ষ্যে জাতীয় সক্ষমতায় নিজস্ব বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ উন্নয়নের পরিবর্তে বিগত সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর গ্যাস, কয়লা ও বিদ্যুৎ আমদানি বৃদ্ধিতে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং লুণ্ঠনের লক্ষ্যে অলিগার্ক সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগ দ্বারা অবকাঠামোগত উন্নয়নের অজুহাত খাড়া করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করায় ওই লক্ষ্য অর্জন উপযোগী সংস্কার করার মতো পরিস্থিতি ফিরে আসে। 

ন্যূনতম মূল্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত সরকারের আমলে জনগণ বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের সঙ্গে বাড়তি অর্থ দিয়ে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিল, জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল ও জ্বালানি গবেষণা উন্নয়ন তহবিল গঠন করে। জ্বালানি সরবরাহে অব্যাহত আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধির ফলে সে লক্ষ্য অর্জনে সফলতা আসেনি। ওই সব তহবিলে প্রতি বছর জনগণের প্রদত্ত প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা, জনগণের করের টাকায় বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, ভোক্তা পর্যায়ে ঘন ঘন মূল্যহার বৃদ্ধি—এসব কিছু অপচয়, তসরুপ ও  ‍লুণ্ঠনের তোড়ে ভেসে গেছে। এসব বিনিয়োগ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নের নানা ফসল হয়ে ভোক্তার ঘরে ফিরে আসেনি। লুণ্ঠন হয়ে দেশী-বিদেশী লুণ্ঠনকারী ও অলিগার্কদের ঘরে উঠেছে। ভোক্তার ঘর শূন্য। সেখানে হাহাকার। ভোক্তা জ্বালানি সুবিচারবঞ্চিত জ্বালানি হতদরিদ্র। জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করা হলে দেশ জ্বালানি দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেত। দেশ তখনই দারিদ্র্যমুক্ত হবে, যখন জ্বালানি দারিদ্র্য বিমোচন হবে।  সেজন্য জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন নীতি ও পরিকল্পনায় সে ধারণা অনুপস্থিত। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের জন্য একটি অতি জরুরি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতে হবে। 

বিগত দেড় দশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চলমান লুণ্ঠনযজ্ঞে মন্ত্রণালয়, বিইআরসি, পেট্রোবাংলা, বিপিসি, পিডিবি, স্রেডাসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান অলিগার্কের ভূমিকা পালন করেছে। তারা এখন সবাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অলিগার্ক। এরা পাবলিক প্রতিষ্ঠান এবং এদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে এখন আর জনগণের সেবক নয়, শোষক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: ১. বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বিগত ২৫ বছরে এক কেজি কয়লাও উত্তোলন করার মতো নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। টনপ্রতি কয়লা আমদানি ব্যয় কম-বেশি ১০০ ডলার হলেও পিডিবি সেখানকার কয়লা ক্রয় করে ১৮৫ ডলারে। ২. পেট্রোবাংলা আইওসির কাছ থেকে প্রতি একক গ্যাস ৩ টাকার কমে কিনলেও বাপেক্সের গ্যাস কেনে ৪ টাকারও বেশি মূল্যহারে। ৩. ভারত থেকে কয়লা বিদ্যুৎ আমদানি ব্যয়হার ৮ টাকার কম হলেও পায়রার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়হার ১৪ টাকারও বেশি হয়। ৪. কয়লার মান ও মাপে আদানির কারচুপির আশ্রয় নেয়ার সুযোগ না থাকলে বছরে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হতো। ৫. ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি চার্জ ১৫ থেকে ৩০ ডলার অবধি। দেশী বা বিদেশী মানদণ্ডে তা নির্ধারিত হলে মাসে কিলোওয়াটপ্রতি সাশ্রয় হতো গড়ে কমপক্ষে ১০ ডলার। ৬. ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ (ইকুইটি ও ঋণ) কম-বেশি ১০ বছরে উসুল হয়। তবু যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদেশী বিনিয়োগ বা ঋণ নেই, বৈদেশিক মুদ্রা দেয় স্থানীয় ব্যাংক; সেসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইফটাইম ২০-২৫ বছর অবধি বিনিয়োগ উসুল হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। তাতে মুদ্রাস্ফীতির অভিঘাতের শিকার হয় পিডিবি। চুক্তি স্বার্থ সংঘাতমুক্ত হলে ওই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে প্রদত্ত বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ বছরে কম-বেশি ৯ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। ৭. বিইআরসির নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী ইকুইটি বিনিয়োগের ওপর মুনাফা হার প্রায় ৭ শতাংশ। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সে মুনাফা হার নির্ধারিত হয়েছে ১২ থেকে ১৮ শতাংশ। তা ন্যায্য ও যৌক্তিক হলে সাশ্রয় হতো বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি। ৮. উৎপাদন ব্যয়ের ওপর ওভারঅল মুনাফা হার বা রেট অব রিটার্ন ১২-১৮ শতাংশ। বিইআরসির মানদণ্ডে তা কম-বেশি ৬ শতাংশ। সে মুনাফা হার ন্যায্য ও যৌক্তিক হলে বছরে সাশ্রয় হতো প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৃত তথ্যাদি পাওয়া যায়নি। ৯. করপোরেট ট্যাক্স ভোক্তার বিদ্যুৎ বিলে সমন্বয় না হয়ে যদি মুনাফায় সমন্বয় হতো, তাহলে বছরে সাশ্রয় হতো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ১০. ব্যক্তি খাতে অসাধু ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি না করে ফার্নেস অয়েল এককভাবে বিপিসির মাধ্যমে আমদানি করা হলে বছরে সাশ্রয় হতো প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ১১. বিপিসি তরল জ্বালানি ভরে ক্রয় করে, আয়তনে বিক্রয় করে। তাতে তার সিস্টেম গেইন হয়। এমন অবৈধ সুযোগ না থাকলে সাশ্রয় হতো ফার্নেস অয়েল আমদানিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ১২. ব্যক্তিমালিকানাধীন ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৪০টি। ক্যাপাসিটি চার্জ গড়ে ১২ ডলার। চুক্তি মতে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১০ শতাংশের বেশি সময় আউটেজে থাকতে পারবে না। অথচ অধিকাংশ সময়ে এরা উৎপাদনে থাকে না। ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই পায়। জুলাই ২০২২ থেকে এপ্রিল ২০২৪ অবধি ২২ মাস ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ তারা নিয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা অলিগার্কের ভূমিকায় না থাকলে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হতো এবং সাশ্রয় হতো ১৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। ১৩. দেশের অভ্যন্তরে ৩X১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে বছরে কয়লা আমদানি করা দরকার প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টন। টনপ্রতি ব্যয় ১৩০ ডলার থেকে ১৩৫ ডলার। হিটিং ভ্যালু, সিস্টেম লস ও জাহাজ ভাড়ায় কারচুপি প্রতিরোধ করা হলে আমদানি ব্যয় হার কমপক্ষে ১০০ ডলারে নামিয়ে আনা সম্ভব। তাতে বছরে সাশ্রয় হতো কমপক্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেই প্রমাণ এখন দৃশ্যমান। ১৪. বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ পর্যায়ের সিস্টেম লস সামগ্রিকভাবে ২ শতাংশ কমানো হলে সাশ্রয় হতো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ১৫. এলএনজি আমদানি, প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণে করপোরেট ট্যাক্স ভোক্তা পর্যায়ের গ্যাসের মূল্য হারে সমন্বয় না হয়ে ইউটিলিটির মুনাফায় সমন্বয় হলে সাশ্রয় হতো ১৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। গ্যাসের উৎপাদন পর্যায়ের কোনো তথ্যদি পাওয়া যায়নি। ১৬. গ্যাস বিতরণে হিসাববহির্ভূত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। তা ২ শতাংশ কমানো হলে বছরে সাশ্রয় হতো ২ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। গ্যাসের মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি হাজার সিএফটি ১২ ডলার। ১৭. বিপিসি ও বিপিসির আওতাধীন ইউটিলিটিগুলোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্যক্তি খাত বিনিয়োগে বাণিজ্যিকভাবে উন্নয়নের কৌশল গৃহীত হওয়ায় এ খাত এখন লুণ্ঠন ও জনগণ জ্বালানি দারিদ্র্যের শিকার। সুতরাং এ অবস্থার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হতে হবে। এ বিবেচনায় জ্বালানি সংস্কার/রূপান্তরের লক্ষ্যে ক্যাব জ্বালানি রূপান্তর নীতি ২০২৪ প্রস্তাব করেছে।  

জ্বালানি নীতি ২০০৮ অনুযায়ী ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ হতে হতো মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ। বিদ্যুতের বাজার সরকার কর্তৃক শতভাগ নিয়ন্ত্রিত। বিদ্যুৎ বাজারে সরকার শতভাগ হোলসেল বিদ্যুতের ক্রেতা। বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যুতের বাজার লেভেল প্লেইং ফিল্ড হলে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হতো না এবং জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হতো। নিম্নে বর্ণিত নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন পরিস্থিতি সেই প্রমাণই বহন করে:

১. ২০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে উৎপাদনে আছে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট। প্রতি একক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় গড়ে ১৬ দশমিক ৪৮ টাকা। বছরে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ৮৮ কোটি ইউনিট। উৎপাদিত মোট গ্রিড বিদ্যুতের শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। 

২. নির্মাণাধীন প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট। প্রতি একক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় গড়ে প্রায় ১৪ দশমিক ৫০ টাকা। বছরে প্রাক্কলিত উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ হবে ১০৫ কোটি ইউনিট।

৩. প্রক্রিয়াধীন ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। উৎপাদন ব্যয় হার গড়ে ১১ দশমিক ৫০ টাকা। ওই প্রকল্প বাতিল প্রক্রিয়াধীন।

৪. সম্ভাব্য রুফটপ সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫০ হাজার মেগাওয়াট। গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে ৪ দশমিক ২০ টাকা ব্যয় হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে ৮ হাজার ৭৬০ কোটি ইউনিট। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ এ বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৭০৪ কোটি ইউনিট। রক্ষণশীল প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় ২০৩০ সালে বর্তমানের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি হতে হবে। তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে ১৪ টাকার পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫০ টাকায় লাখ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মাধ্যমে কোটি কোটি ভোক্তার মধ্যে তা বিতরণ করা যায়। অথচ বিগত সরকারের দ্বিগুণ মূল্যহারে জমি খুইয়ে করা বিত্তবান উদ্যোক্তাদের মেগা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ ভোক্তাদের ক্রয় করতে বাধ্য করে।

৫. ভারতে সৌরবিদ্যুতের মূল্যহার বর্তমানে কম-বেশি ৩ রুপি (১ ডলার = ৮৫ রুপি) ভারতের পরিকল্পনামতে ২০৩০ সালে এ বিদ্যুতের মূল্যহার হবে ১ দশমিক ৯ থেকে ২ দশমিক ৬ রুপি। অবশ্য মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

৬. সম্ভাব্য বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াট।

৭. ২ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে উৎপাদনে আছে ২ মেগাওয়াট। উৎপাদন ব্যয় ইউনিটপ্রতি গড়ে ৫৩ দশমিক ৫৮ টাকা।

৮. ভারতে কম-বেশি ৩ রুপি। পরিকল্পনামতে ২০৩০ সালে তা হবে ২ দশমিক ৩ থেকে ২ দশমিক ৬ রুপি।

লুণ্ঠনমুক্ত মুনাফাবিহীন সরকারি সেবা খাত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়ন হলে সে-ই উন্নয়ন বৈষম্যবিহীন সমতাভিত্তিক হবে এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের মূল্যহার ভারতের পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এজন্য জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বার্থ সংঘাতমুক্ত জ্বালানি সংস্কার জরুরি।   

এম শামসুল আলম: জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন; কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন