যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ে ১২৮ মরদেহ উদ্ধার, আরো মৃত্যুর আশঙ্কা

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি - সিএনএন

আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ৬ অঙ্গরাজ্যে এ পর্যন্ত অন্তত ১২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নেমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতচিহ্ন প্রকাশ পাচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানায়, ফ্লোরিডায় ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন হিসেবে আঘাত হানার পর ৬টি রাজ্যে মৃতের সংখ্যা সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ১২৮ জনে পৌঁছেছে। এই এলাকাগুলোর প্রায় ২০ লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। অনেক পরিবার এখনো জানে না তাদের প্রিয়জনরা বেঁচে আছে কি না। ঝড়ের তাণ্ডবে অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।

উত্তর ক্যারোলিনায় ৫৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুই অন্তর্দেশীয় এলাকায় হয়েছে।

কাউন্টি ম্যানেজার অ্যাভ্রিল পিন্ডার জানিয়েছেন, বানকম্ব কাউন্টিতে অন্তত ৪০ জন মারা গেছেন।

অ্যাশেভিলের মেয়র এস্থার ম্যানহাইমার বলেন, পানি কমতে থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতচিহ্ন প্রবলভাবে ভেসে উঠেছে।

ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত মানুষেরা এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না। কারণ তাদের কাছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, সেল ফোন সার্ভিস এবং বিদ্যুৎ নেই।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা। এস্থার ম্যানহাইমার জানান, আমরা অ্যাশেভিলে যাওয়ার চারটি প্রধান মহাসড়কের মধ্যে তিনটি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। সে কারণে কিছু সরঞ্জাম আকাশপথে পাঠানো হচ্ছে।  ঝড়ের এই তান্ডব  থেকে মানুষকে পুনরুদ্ধার করতে কত সময় লাগবে তা কল্পনা করাও কঠিন।

ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে প্রায় শত শত মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। কিছু প্রতিবেদন বলছে, নদীতে ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং তার ভেতরে মানুষ আটকা পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন