পদ্মার ভাঙন রোধে কুষ্টিয়া পাবনা মহাসড়ক অবরোধ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক গতকাল অবরোধ করেন পদ্মাপারের বাসিন্দারা ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

পদ্মার অব্যাহত ভাঙন রোধে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ। এতে অংশ নেয় মিরপুর উপজেলার হলবাড়িয়া, বারুইপাড়া, তালবাড়িয়া, খাদিমপুর, সাহেবনগর, মির্জানগর ও ঘোড়ামারার কয়েকশ পরিবার।

পরে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে সোমবার তারা কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও করেন।

জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে মহাসড়কের তালবাড়িয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন ভাঙনকবলিতরা। এ সময় দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের একমাত্র সংযোগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ। দুর্ভোগে পড়েন দূরগামী যাত্রীরা। পরে কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুণ্ডু ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছাড়েন। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছরে নদীগর্ভে শত শত একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডের ছয়টি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের টাওয়ারসহ বসতবাড়ি ও স্কুল-কলেজ ভাঙনের ঝুঁকিতে। কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী-মহাসড়ক থেকে নদী ৫০ মিটার দূরে চলে এসেছে। সড়কটিও যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘সাহেবনগর বেড়িবাঁধসহ ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে। দুই মাসের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন